কেন কানাডার অভিবাসী হবার চেষ্টা করা উচিৎঃ Last Page (First part)

সিনেমা শুরু হল, প্রথম থেকেই টান টান উত্তেজনা। প্রথমেই নায়ক বা নায়িকা মারা গেল। শেষ দৃশ্য দিয়ে শুরু হল সিনেমা। এই ধরনের সিনেমাগুলোকে সাধারণত বলা হয় Reverse chronology সিনেমা। আমিও চিন্তা করলাম এইরকম কিছু করি। যারা কানাডা চলে যাচ্ছে তাদের জন্য শেষ পর্বটা প্রথমে লিখে ফেলি। গত পর্বে কথা দিয়েছিলাম কানাডা গিয়ে কিভাবে সফল হওয়া যায়, বা অতীতে অভিবাসীরা কিভাবে সফল হয়েছে তা নিয়ে লিখবো। তাহলে শুরু করা যাক-

Nick Noorani নবাগতদের জন্য সাতটি success secrets দিয়েছেন –

১। ভাষাঃ
Nick Noorani এর মত আপনি যদি ইংরেজি বা ফ্রেঞ্চ অথবা দুটোই খুব ভালো করে শিখতে না পারেন, আপনার অবস্থা অনেকটা গুহাতে লুকিয়ে থাকা রত্নের মত। এইটা অনেকতা এইরকম যে করিম বাংলাতে খুব ভালো মার্কেটিং করতে পারে কিন্তু তার কাস্টমারা সবাই ইংরেজি বা ফ্রেঞ্চ এ কথা বলে।

২। ইতিবাচক থাকুনঃ
একজন নতুন অভিবাসী যখন কানাডাতে এসে ভালো চাকুরী পায় না, তখন সে সমালোচনা শুরু করে, তার ব্যর্থতার জন্য বিভিন্ন নেতিবাচক বিষয়গুলোকে দায়ী করা শুরু করে। Nick Noorani এর মতে তখন আসলে মন থেকে নেতিবাচক বিষয়গুলো সরিয়ে ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করা উচিৎ, যেমন – নিজের আরও কি কি ডেভেলপমেন্ট করা যায় এবং আশেপাশে অসুবিধার পাশাপাশি কি কি সুযোগ সুবিধা আছে সেগুলো নিয়ে চিন্তা করা।

৩। কানাডাকে ভালোবাসুন, জানুন, ঘুরে বেড়ানঃ
যদিও এখন আপনার কানাডাতে আশার স্বপ্ন সার্থক হয়ে গেছে, তাও মাঝে মাঝে নিজেকে মনে করিয়ে দিন যে আপনি আপনার স্বপনের দেশে আছেন। যে দেশে থাকবেন একসময় স্বপ্ন দেখছেন, সেখানে এখন বসবাস করছেন।কানাডাকে জানুন, কানাডার লোকজনকে জানুন, ঘুরে বেড়ান, সহজ কথাতে কানাডাকে ভালোবাসুন, কারন একমাত্র ভালবাসলেই কারও দোষ খুব সহজে ক্ষমা করে দেয়া যায়।

৪। বিকল্প পরিকল্পনা রাখুনঃ
আপনি হয়তো চিন্তা করছেন কানাডা গিয়ে Pharmaceuticals সেক্টর এ জব করবেন, বা procurement এ জব করবেন, কারন আপনি এই সেক্টর এ Specialized. আপনার Specialization এর পাশাপাশি অন্য বিকল্পগুলো নিয়ে চিন্তা করুন। হয়তো এমনো হতে পারে, যে বিষয় এ নিয়ে আপনি কখনও চিন্তাও করেন নাই, সেই বিষয় এ আপনি Usain Bolt এর থেকেও বেশী জোরে দৌড়াতে পারেন। যত বেশী বিকল্প পরিকল্পনা Ready রাখতে পারবেন, আপনি তত Safe.

দিনে শেষে, Survival of the fittest, এই কথাটি আমাদের মানতেই হবে। সুতরাং fit হন, Survival নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না, Survival আপনাকে নিয়ে চিন্তা করবে, Survival বলবে কি মাইরটাই না দিল, একটুর জন্য কানের পর্দা ফাটে নাই। এই পর্বে আর না আগামী পর্বে বাকি ৩টি success secrets আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।

 

 

Courtesy:

Mohammad Istekher Chowdhury 

কেন কানাডা অভিবাসী হবার চেষ্টা করা উচিৎঃ First Page

আমাদের এই Group এর লক্ষ্য আপনাকে কানাডা Immigration এ সফল করে দেয়া নয়, কারণ সফলতা অনিশ্চিত। সফল হবার জন্য দিন শেষে যোগ্যতা, আগ্রহ, প্রচেষ্টা এর পাশাপাশি ভাগ্যও একটা বড় অবদান রাখে। সুতরাং আমাদের লক্ষ্য কানাডা Immigration এ সফল হওয়ার জন্য আপনাকে উৎসাহ ও উদ্দীপনা এবং সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করা। দিন শেষে রাস্তা কিন্তু আপনার, আমার খুব কাছের একজন মানুষ বলে, You have to walk the walk. মানে হল, আপনার রাস্তা আপনাকেই মাপতে থুকু চলতে হবে। চলার পথে টুকটাক ধাক্কা দরকার হলে আমরা তো আছিই, কিন্তু ভাই তাই বইলা সারাদিন আমাদের দিয়ে গাড়ি ঠেলাইন না, আপনিই চিন্তা করেন ঠেলে আপনার Immigration এর গাড়ি কানাডা নিতে কত দিন লাগবে।

একজন মানুষ এর কানাডা যাবার পথ তখন থামে না, যখন সে IELTS ভালো করতে পারে না, যখন সে কানাডা থেকে রেফুসাল পায়, বরং তার যাত্রা তখন শেষ হয় যখন সে কানাডা যাবার আশা ছেড়ে দেয়। ভাই প্রতিবন্ধকতা সব দেশেই আছে, থাকবে। বাংলাদেশের লোক হয়ে যদি আপনি প্রতিবন্ধকতা কে ভয় পান, আপনি আসলে বাংলাদেশি না। আমরা অনেক স্বপ্ন প্রিয় জাতি, Business শুরু এর আগে লাভের টাকা দিয়ে কি করবো তাও চিন্তা করে ফেলি। আপনি বলবেন আমরা Practical or realistic না। এত Practical হয়ে কি লাভ, জীবন তো একটই ভাই। একটা প্রবাদ আছে, if your dreams don’t scare you, they are not big enough. যার মানে হোল, বড় স্বপ্ন দেখতে হবে, যেই স্বপ্ন আপনাকে জাগিয়ে দিবে, দিগুন আমাজে আবার ঘুমানোর জন্য নয়, বরং স্বপ্ন পূরণের জন্য।

এতক্ষণ যা বললাম, পুরটাই ভূমিকা। কাজ না পারলেও ভূমিকা আমাদের ঐতিহ্য। দেশ ছাড়তে পারি ভাই, কিন্তু ঐতিহ্য ছাড়তে পারমু না। এবার আসুন আসল কথাতে, কেন কানাডা অভিবাসী হবার চেষ্টা করা উচিৎ। উন্নত জীবন, শিক্ষার মান, চিকিৎসা সেবা, নিরাপত্তা নাকি অন্য কিছু। সব কিছু বিস্তারিত জানার জন্য চোখ রাখুন পরের পর্বে।

 

Courtesy:

Mohammad Istekher Chowdhury

কেন কানাডার অভিবাসী হবার চেষ্টা করা উচিৎ? (পর্ব ০১)

প্রথমে কিছু কথা বলে নেই, কেন কানাডার অভিবাসী হবার চেষ্টা করা উচিৎ এর পোস্টগুলোতে আমি মূলত কানাডার অভিবাসী হবার আগ্রহ তৈরি করে এইরকম বিষয়গুলো নিয়ে লিখবো। তবে যারা Already কানাডা এর ভিসা পেয়ে গেছেন, তাদের জন্য কিছু না রাখলে কেমন হয়! তাই শেষ পর্বে থাকবে যেই বিষয়গুলো কানাডার অভিবাসীদের সফল হতে সহায়তা করেছে এমন কিছু বিষয়, inshort some success secrets. সেগুলো অবশ্যই আমরা কথা নয়, গবেষকদের কথা।

এবার আসুন মূল বিষয় এ, আজকের পর্বে কানাডা এর জীবনযাত্রার মান নিয়ে কিছু কথা বলবো। জীবন যাত্রার মান নিয়ে কথা বলতে গেলে OECD এর নাম automatically চলে আসে। OECD হল একটি intergovernmental economic organisation যারা তাদের অন্তর্ভুক্ত ৩৫ টি দেশ নিয়ে গবেষণা করে, এবং এই দেশগুলোর সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। OECD এর মতে কানাডার net-adjusted disposable income (অনেকটা GDP এর মত) গড়ে ২৮১৯৪ ডলার (বাৎসরিক), কানাডিয়ান ডলার না কিন্তু US dollar, যেটি OECD এর মোট গড় থেকে ঢের বেশী। আপনি যদি জানেন এই ৩৫ টি দেশের বাকিগুলো কারা তাহলে বুঝতে পারবেন, কানাডা আসলে কত ভালো Position এ আছে। বাকিদেশগুলোর মধ্যে Australia, Denmark, New Zealand, United States, United Kingdom অন্যতম। এবার বুঝতে পারছেন এখানে খেলা হচ্ছে বাঘে বাঘে, মশা মাছিতে না (যদিও মশা এখন অতি ভয়ংকর বস্তুর নাম, বাঘের চিকনগুনিয়া হলে আশা করি বুঝতে পারবে দিনে কয় ঘণ্টা, সপ্তাহে কয় দিন)

যদিও life expectancy বিষয়টা নিয়ে কথা না বললেই হয়, কারন হায়াত মউত আল্লাহ এর হাতে। তবে আশা করতে দোষ নেই, একজন সুস্থ সবল মানুষ কানাডাতে ৮১ বছর বাঁচার আশা করতে পারে, যেটি OECD এর মোট গড় থেকে ১ বছর বেশী। আসুন আমাদের দেশের ও আশেপাশের দেশের গড় life expectancy জেনে নেই – বাংলাদেশ – ৭২ বছর, ইন্ডিয়া – ৬৮ বছর, পাকিস্থান ৬৬ বছর (তথ্য-২০১৫)। সুতরাং আমাদের দেশও কিন্তু এদিক দিয়ে ইন্ডিয়া বা পাকিস্থান থেকে ভালোই এগিয়ে। এখন থেকে দেশ নিয়ে আর কোন উল্টা পাল্টা কথা হবে না। আজ এই পর্যন্তই। আগামীতে আর লিখব ইনশাআল্লাহ।