কানাডায় নতুন যারা আসবেন/আসছেন

কানাডায় পাড়ি জমানো নতুনদের সবাইকে জানাই সু-স্বাগতম। জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। বসবাস, পড়ালেখা, ঘুরতে আসার জন্য উপযুক্ত এই সুন্দর দেশটা। এই লেখাটা মূলত নিউকামার ইমিগ্র্যান্টদের জন্য, যারা কানাডায় ল্যান্ড করবার জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছেন বা সদ্য এসেছেন।

নতুনরা অন্তত প্রথম চার মাস চলার মতো টাকা সাথে নিয়ে আসলে ভালো। প্রাথমিকভাবে একটা ছোট চারজনের পরিবারের মাসিক খরচ ২০০০ থেকে ৪০০০ ডলার হতে পারে [অবশ্যই ভিন্নতা/কমবেশি হবে শহর/স্থানভেদে, ব্যক্তি বিশেষ আর তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী। এটা একটা উদাহরণ মাত্র] এখানে সেরকম আত্মীয়স্বজন/বন্ধু না থাকলে এসে প্রথমেই একজন সমাজকর্মীর সহায়তা নিন। তিনি বিভিন্ন দিক দেখিয়ে দেবেন, বিনামূল্যে আপনাকে সহায়তা দেবেন। তাছাড়া এয়ারপোর্টে ইমিগ্র্যাশন অফিস আপনাকে গাইডেন্স, বুকলেটস দিয়ে দেবে। আপনি প্রাথমিক তথ্য পাবেন ওখানেই।

মোবাইল, ইন্টারনেট
===============
প্রথমেই একটা মোবাইল নাম্বার নিয়ে নিন। মাসে ২৫ থেকে ৪০ ডলারের মধ্যে পাবেন। তাছাড়া আপনার প্রয়োজন মোতাবেক ইন্টারনেট নিতে পারেন মাসে ৪০-৮০ ডলারের মধ্যে।
খাবার
=====
এখানে বড় শহরগুলিতে সব ধরণের খাবার, মশলা পাওয়া যায়। খামোখা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসার কোনো যুক্তি নাই। মা বাবা ভালোবেসে বেঁধে দিলে আলাদা কথা। হালাল দোকানের অভাব নাই। এমনকি বাংলাদেশী মাছ, সবজি, মশলা, চাল, গুড়, পান, ফলমূল নিয়মিত বাংলা দোকানে ইম্পোর্ট হয়ে আসে।
তথ্য সংগ্রহ
=========
২১১ নাম্বারে কল করে যেকোনো সোশ্যাল সার্ভিস, বাংলাদেশী কমিউনিটিতে যোগাযোগ করার তথ্য জেনে নিন নির্দ্বিধায়। ৩১১ এ কল করে সরকারি যেকোনো সংস্থার ঠিকানা/সহায়তা পেতে পারেন। তাছাড়া BCS অফিস এ [বাংলাদেশী কানাডীয়ান কমিউনিটি সার্ভিসেস] এ কল দিলে তারা হেল্প করবে। গুগল করুন শহর অনুযায়ী। BCCB তে সদস্যপদ হয়ে আসবেন ফেসবুকে। সেখানে অনেক উপকারী তথ্য পাবেন। এছাড়াও বেশ কিছু ফেইসবুকভিত্তিক গ্রূপ থেকে সহায়তা পাবেন।
আবাসন
=======
কানাডায় এখন বাড়ি ভাড়া আকাশচুম্বী। তাই পুরানাদের চাকচিক্য অবস্থার দিকে না তাকিয়ে নিজের সাধ্য মতো থাকবেন। আপনারও ভালো সময় আসবে একদিন।

এখানে অধিকাংশ পত্রিকাই ফ্রি। বাংলাদেশী কমিউনিটিতে থাকার প্ল্যান থাকলে বাংলা দৈনিক দেখে বাসা খুঁজে নিন। হাউজ-এ এক রুম এর বেজমেন্ট ৯০০ থেকে ১২০০ ডলারে পাবেন। অধিকাংশ বেজমেন্টে মালিকগণ ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ, পানি, আর লন্ড্রী সহ এই ভাড়া হিসাব করেন। আবার ব্যতিক্রম আছে। তবে মেইন ফ্লোরে ভাড়া অনেক বেশি।
.
আর যদি বড় বিল্ডিং এপার্টমেন্ট এ থাকতে চান, তাহলে এক রুমের এপার্টমেন্ট এর জন্য ১২০০ থেকে ১৬০০ ডলার গুনতে হবে মাসে [ শহর ভেদে ভিন্ন হবে ] ২ রুমের জন্য আরো ৩০০ – ৫০০ ডলার যোগ হতে পারে। সাথে বিদ্যুৎ, পার্কিং আর ইন্টারনেট বিল দিতে হবে।

মনে রাখবেন আপনার এবিলিটির ওপর থাকবেন। প্রথম প্রথম সবাই এখানে কষ্ট করেই থাকে। অনেকেরই একটা অভ্যাস আছে, বেজমেন্ট দেখলে তাচ্ছিল্য করেন। এটা একদম ঠিক নয়। সবার এবিলিটিকে রেস্পেক্ট করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে আসার আগেই কারও মাধ্যমে অন্তত প্রাথমিকভাবে বাসা ঠিকঠাক করে আসবেন। পত্রিকায় ব্যাচেলরদের জন্যও রুম/শেয়ার-রুম অ্যাড থাকে।
.
** মনে রাখবেন, কানাডায় এক রুমের বাসা/এপার্টমেন্ট মানে একটা বেড রুম থাকবে; সাথে একটা ড্রয়িং রুম আর কিচেন, বাথরুম থাকবে।
** সব বাসাগুলোতে রান্নার চুলা, ফ্রিজ দেয়া থাকে। আপনাকে এগুলো কিনতে হবে না। হিটিং সিস্টেম থাকবে।
** হাউজ বলতে সাধারণত ছোট ছোট কাঠের বাড়িগুলোকে বুঝায়।
** বিল্ডিং এপার্টমেন্ট বলতে সাধারণত বড় বড় কংক্রিটের মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিঙের বাসাগুলোকে বুঝায়।
** বেসমেন্ট হলো বাসাবাড়ির নিচতলা।
.
বাচ্চাদের স্কুল
==========
খুব সম্ভব আপনার বাসার আশেপাশেই স্কুল পেয়ে যাবেন। কর্তৃপক্ষ আপনার বাচ্চাকে বয়স অনুযায়ী ক্লাস/গ্রেডে ভর্তি করে নেবে। দুশ্চিন্তা করবেন না। তবে বাংলাদেশ থেকে আসার আগে ডাক্তারের কাছ থেকে বাচ্চার যাবতীয় ভ্যাকসিন/টিকার রেকর্ড সাথে নিয়ে আসবেন।

ট্রান্সপোর্ট
========
কানাডার অধিকাংশ বড় শহরগুলোয় পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ভালো মানের। প্রাথমিকভাবে আপনার ব্যক্তিগত গাড়ির প্রয়োজন হবে না। বাসে করেই শহরের যেকোনো জায়গায় যাবেন অনায়াসে। তবে শহর ভেদে সুবিধা কমবেশি থাকবে। তবে কান্ট্রি সাইডে/গ্রামের দিকে থাকতে হলে গাড়ি দরকার I এখানে কাউকে ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে আগ্রহ ভরে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে। পরিচিত কারো কাছ থেকে জেনে নিন/গুগল করুন কিভাবে যাবেন।

SIN, হেলথ কার্ড, PR কার্ড, ব্যাঙ্ক একাউন্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স
============================================

আপনাকে SIN [Social Insurance number] নিতে হবে। এটা ৯ ডিজিটের একটা নাম্বার। চাকরি পাওয়া, সরকারি/বেসরকারি অনেক ধরণের কর্মকান্ডে এটা প্রয়োজন। যোগাযোগ: গুগল করুন Service Canada অফিস, প্রয়োজনে ফোন করুন। আপনাকে স্বশরীরে উপস্থিত হতে হবে।
হেলথ কার্ড/চিকিৎসা
…………………………..
এদেশে ডাক্তার দেখাতে হলে হেলথ কার্ড থাকতে হবে। তা না হলে আপনাকে টাকা দিয়ে ডাক্তার দেখাতে হবে। হেলথ কার্ড পেতে প্রায় তিন মাস সময় লাগতে পারে [শহরভেদে কম বেশি হবে]। এদেশে অধিকাংশ চিকিৎসা ফ্রি [চোখ আর দাঁত-এর ব্যাপারে রেস্ট্রিকশন আছে ] যোগাযোগ প্রভিন্সিয়াল অফিস: যেমন- Service Ontario office [অন্টারিও প্রভিন্সের জন্য]. আপনাকে ওখানে গিয়ে এপলাই করতে হবে। হেলথ কার্ড পাবার পর পারিবারিক ডাক্তার খুঁজে নিন বাসার আশেপাশে। প্রাথমিকভাবে ওখানেই ডাক্তার দেখাতে হবে। তবে ইচ্ছা করলে আপনি হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে গিয়েও চিকিসা নিতে পারেন। রেস্ট্রিকশন নেই।

PR [পার্মানেন্ট রেসিডেন্স] কার্ড
…………………………………………
যোগাযোগ Service Canada Office. এখানেও প্রায় ২-৩ মাস সময় লাগতে পারে। প্রভিন্স হিসাবে ভিন্নতা আছে। আপনি কানাডায় ল্যান্ড করার পর এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন অফিসে যে বাসার এড্রেস দেবেন, সেই ঠিকানায় কার্ড পাঠানো হবে। তবে এড্রেস পরিবর্তন করলে অবস্যই দ্রুত জানাবেন অফিসে।
.
ব্যাংক একাউন্ট
…………………..
.
আপনার পছন্দমাফিক যেকোনো ব্যাঙ্ক-এ গিয়ে উপস্থিত হউন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে। এটা খুবই জরুরি। TD, RBC, CIBC, BMO, SCOTIA ইত্যাদি যেকোনো ব্যাংকএ গেলে তারা আপনাকে সহায়তা দিয়ে আগ্রহভরে একাউন্ট খুলে দেবে। নিউকামারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা আছে।
.
ড্রাইভিং লাইসেন্স
……………………….
.
দেরি না করে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রসেসিং শুরু করে দিন। উদাহরণস্বরূপ-যোগাযোগ: SERVICE ONTARIO . আপনি গাড়ি কিনুন বা না কিনুন, এটা একটা অপরিহার্য V.I.আইডি। আপনাকে গাড়ি চালাতে পূর্ণাঙ্গ লাইসেন্স নিতে মোট তিনটা পরীক্ষা দিতে হবে [এখানে অন্টারিও প্রভিনসেরটা বলা হলো। প্রভিন্স ভেদে ভিন্ন হবে] :
.
১. জি-১ [লিখিত পরীক্ষা। টিক মার্ক]
.
২. জি-২ [জি-১ পাশ করার এক বছর পরে এই পরীক্ষা দিতে পারবেন। আপনাকে প্রেক্টিক্যালি ড্রাইভ করে পরীক্ষা দিতে হবে; এক্সামিনারকে সাথে নিয়ে। উনি মার্কিং করবেন। এই অংশে কোনো লিখিত পরীক্ষা নাই।
.
৩. জি (পূর্ণাঙ্গ) [ জি-২ পরীক্ষায় পাশ করার পর এই “জি” ড্রাইভিং পরীক্ষা দিতে হবে। এখানেও আপনি গাড়ি চালাবেন এক্সামিনারকে সাথে নিয়ে, অনেকটা জি-২ পরীক্ষার মতো, তবে আরও বড়/জটিল রাস্তায়। আরও প্রফেশনালভাবে চালাতে হবে]

*** জি-২ পাশ করার পর আপনি গাড়ি চালাতে পারবেন, সামান্য কিছু রেস্ট্রিকশন ছাড়া। তবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনাকে অবশ্যই জি লাইসেন্স নিতে হবে।
.
.
ফার্নিচার
========
.
প্রাথমিকভাবে আপনি ফার্নিচার ব্যাঙ্ক থেকে শর্তসাপেক্ষে প্রায় বিনামূল্যে ফার্নিচার নিয়ে আসতে পারেন। [এই সুবিধা সব শহরে নাও থাকতে পারে] পরিবার হিসাবে একটা লিমিট দেওয়া থাকে। তবে ট্রাক ভাড়া আপনাকে দিতে হবে। সমাজকর্মীর সহায়তা নিন। তাড়াহুড়া করবেন না, ধীরে সুস্থে কিনতে থাকুন পরবর্তীতে। তবে পুরাণ ম্যাট্রেস /বক্স ঘরে তোলার আগে চেক করে নিন ছাড়পোকা /তেলাপোকা আছে কি না।
.
জামা-কাপড়
==========
.
ওয়ালমার্ট, ওল্ড নেভি, গাপস, উইনার্স, অশ-খশ ইত্যাদি বিভিন্ন দোকান থেকে নতুন জামাকাপড় কিনতে পারেন। আর পুরানা/ব্যবহৃত জামাকাপড় কিনতে পারেন থ্রিফট (THRIFT) স্টোর থেকে। সেখানে বেশ কম দামে ভালো জিনিষও মেলে। গুগল এ থ্রিফট ষ্টোর লিখে সার্চ দিয়ে এড্রেস জেনে নিন।
.
সোশ্যাল সার্ভিস/ অ্যাসিস্ট্যান্স
=======================
.
আপনি যদি নিতান্তই আপনার আর্থিক ব্যয় মিটাতে অক্ষম হন, তাহলে সমাজকর্মীকে খোলাখুলি বলুন। সবই কনফিডেন্সিয়াল/গোপনীয়। আপনি নিজেও গুগল-এ Social Assistance Canada সার্চ দিয়ে তথ্য নিতে পারেন। প্রভিন্স ভেদে নামের ভিন্নতা আছে। সরকার থেকে একটা সহায়তা পেতে পারেন, যদি তা পাবার যোগ্য হন। ভয় নেই, কানাডায় কেউ না খেয়ে থাকে না।

যত দ্রুত পারা যায় চাইল্ড বেনিফিট এর জন্য এপলাই করে ফেলবেন।
.

চাকরি/পড়াশোনা
==============
.
EMPLOYMENT সেন্টারগুলোতে যোগাযোগ করুন। সেখানে বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার, টেলিফোন, প্রিন্ট, ফ্যাক্স পেতে পারেন। তারা প্রাথমিকভাবে চাকরি পাবার একটা পথ বাতলিয়ে দিতে সহায়তা করবে। পড়াশোনার ব্যাপারেও সহায়পতা করবে। আর আপনার সিভি/রেজিউমি বানাতেও অনেক সহায়তা করবে। মনে রাখবেন কানাডার সিভি/রেজিউমি বাংলাদেশের থেকে সম্পূর্ণই আলাদা। তাই ভালোমতো কানাডিয়ান চাহিদা মোতাবেক ঠিক-ঠাক না করে কোথাও এপলাই করে লাভ নেই। তবে সারভাইভাল জব পেতে চাইলে সরাসরি সেই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সিভি দিয়ে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে সিভি নাও লাগতে পারে, শুধু ফর্ম ফিলাপ লাগতে পারে।
.
পড়াশোনা করার জন্য কানাডা স্বর্গ। আর কানাডিয়ান ডিগ্রি মানেই ভালো চাকরির সম্ভাবনা। জীবন গড়ে তুলবার জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ভালো জব পাবার সব ব্যবস্থা করে রেখেছে সরকার। আপনি সেভাবে এগুলে সফল হবেন তাতে কোনো সন্দেহ নাই। অনেকেই তড়িঘড়ি করে সারভাইভাল জবে ঢুকে আর বেরুতে পারে না। মনে রাখবেন সারভাইভাল জব মানেই সেটা বছরের পর বছর কন্টিনিউ করা নয়।
.
.
খুবই গুরুত্বপূর্ণ
++++++++++++
.
*** অপরিচিত কাউকে ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন না

*** জন্মতারিখ, পোস্টাল কোড, ফোন নম্বর অপরিচিত মানুষের কাছে শেয়ার করবেন না

*** দুষ্টু লোক ফোন করে কৌশলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে বিপদে ফেলতে পারে

*** আপনি নিজে ফোন করে বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে তথ্য দিতে পারেন, কিন্তু কেউ কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম করে আপনাকে ফোন করলে নিশ্চিত না হয়ে কোনো তথ্য দেবেন না

*** কানাডায় আপনার নিজস্ব একটা ঠিকানা খুবই জরুরি

*** মনে রাখবেন ভয়ভীতি দেখিয়ে ফোন করে টাকা চাওয়া মানেই “ফ্রড কল”

আর সুন্দর এই দেশটা ঘুরে দেখুন, উপভোগ করুন I পজিটিভ হউন। দেশে ফেলে আসা আপন মানুষগুলোও যেন বঞ্চিত না হয় আপনার অভিজ্ঞতা, সংস্পর্শ, সহায়তা থেকে। সবাইকে নিয়েই সার্থক হোক আপনার পথ চলা।

Courtesy: Zaved Iqbal

Source : https://www.facebook.com/zavedi1/posts/10157077262272860

What is a step by step procedure for Canada express entry?

For people who keep asking the steps for PR, I hope you’re reading this.

What is a step by step procedure for Canada express entry?

Step 1: Take IELTS and attain CLB 9 (viz: band score of 8777 in LRWS)

CLB 9 gives candidates additional language points boost of 50–60 points. If you are able to reach the score of 440+ without CLB 9, that is fine too.

Cost – Approx 200 CAD every time you take IELTS.

Step 2: Get your ECA done (6–8 weeks)

ECA is Education Credential Assessment. It is done by multiple organizations (WES one of them) and provides you the Canadian equivalent degree assessment of your native country education.

Cost – Approx 285 CAD. (200 CAD Fee + 85 CAD International Result Delivery)

Step 3: Create EE profile on CIC website with your attained IELTS score and ECA

Making a profile enters you in the pool of candidates waiting for the ITA (Invitation to Apply). Make sure all the information mentioned in the profile is accurate as you will be asked to provide proof of all that information once you are selected.

Cost – 0

Step 4: Wait for the draw to reach your score and receive ITA afterward

The ROI (Rounds of Invidation) happens every 3–4 weeks. The Canadian govt declares the min cut off score of the EE profile and all the candidates having that score or score more than it will get ITA. The score varies and is tweaked to meet the usual 2800–3000 applicants quota per ROI.

Cost – 0

Step 5: Post ITA, you get 2 months to submit your documents

After candidates receive ITA, they are supposed to provide documents and proofs of all the information mentioned in their profile along with few others. The documents/information needed from the candidates are:

Scan of Travel Document (Passport) of all applicants
Digital Photograph of all applicants
Proof of Employment of primary applicant
Proof of Funds of primary applicant
Proof of Medical of all applicants
Proof of Education & IELTS of all applicants
Police Clearance Certificate (From all countries where you have resided for 6 months or more) of all applicants
Cost varies as Medical cost, PCC fees, Notarization fees etc varies on location. Ideally, all expenses should be covered within 300–350 CAD per applicant.

Step 6: Submit documents, pay Immigration Fee and wait for the PPR (PassPort Request – For stamping)

After submitting the documents and paying the Immigration fees, the Canadian Immigration officers verify the documents and information provided. This generally takes 2–4 months depending on the application type, countries a person has resided in and most importantly, the immigration visa office where the application has been sent for processing and how much application backlog is there.

New Delhi visa office is infamous for taking usually 4 months to process and verify the submitted documents, sometimes even more!

Cost – 1050 CAD x No. of Applicants in the application

Step 7: PPR received. Submit Passport and get Canada CoPR (Confirmation of PR)

Once the documents are verified, candidates are intimated about the result of their application via mail. On successful processing, candidates are required to submit the passports of all the applicants for the Visa Stamping and CoPR. Passport is being sent by VFS Global and would cost around30 CAD per passport. The stamped passport is returned to the designated address within 2 weeks along with 2 copies of CoPR.

Cost – Approx 30 CAD x No. of Applicants

Step 8: Reach Canada on CoPR and apply for PR card

Applicants are supposed to travel to Canada within the tenure mentioned on the passport. The tenure is generally till the time passport is valid or till medical proof is valid, whichever is earlier. In any case, visa will not be for more than 1 year.

Applicants are supposed to plan their travel, temporary or permanent migration, to Canada within the Visa timelines and submit one copy of CoPR at the time of landing. The other copy is stamped and returned.

Submitting CoPR means that Candidates have successfully landed in Canada and this, in turn, initiates the PR card application for each applicant.

Cost – Travel Cost of each applicant

Step 9: Receive PR card (2–3 months)

Official PR Card processing time is 62–65 days and the PR card will be couriered to the address given by the applicants at the time of their landing. The address has to be a Canadian address.

PR Card will be delivered to the address within 50–80 days. In case you have performed soft landing (temporary migration) just to fulfill the landing formalities before the Visa expires, you can request any friend coming to your native country to bring along your PR card.

PR cards are not couriered outside Canada and have to be delivered in person in such scenarios.

Step 10: You are Canadian PR. Enjoy!

Once you have your PR card, you are officially a Canadian PR. Have fun!

PR card is provided with validity of 5 years. A person is suppose to live in Canada for 730 days in consecutive 5 years to continue his/her PR card for next 5 years after the expiry.

If a person has stayed in Canada for more than 1095 days in consecutive 5 years, he/she is eligible to apply for Canadian citizenship.

Some Acronyms Frequently Used in this post & during Visa Processing:

CLB – Canadian Language Benchmark
ECA – Education Credential Assessment
EE – Express Entry
ROI – Round of Invitations
ITA – Invitation to Apply
CoPR – Confirmation of Permanent Residency
PPR – Passport Request
PR – Permanent Resident (Residency)

PS: Not taking any credit for this, someone else wrote this on Quora, thought this would help. All the best!

কানাডায় নয় মাসঃ আমাদের অভিজ্ঞতা- প্রশ্নোত্তর পর্ব ০১:

আমার হাসবেন্ড বেশ কিছুদিন ধরে এই গ্রপে “কানাডায় নয় মাসঃ আমাদের অভিজ্ঞতা” শেয়ার করছে। তার লেখাগুলোর প্রেক্ষিতে পোষ্টে বা ইনবক্সে অনেক প্রশ্ন পাই দুজনেই। আমাদের স্বল্প জ্ঞানে আর অভিজ্ঞতায় যতটুকু সম্ভব আমরা উত্তর দেয়ারও চেষ্টা করি। তবু কিছু কিছু কমন প্রশ্ন আছে যা অনেকেই করে থাকেন। আমার এই পোষ্টে আমি সেই প্রশ্নগুলো নিয়ে কিছুটা আলোচনা করতে চাই।

প্রথমেই ডিসক্লেইমারঃ “এখানে আমি যা যা লিখছি তা আমাদের নিজেদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লেখা; কিছু ঠেকে শিখেছি, কিছু দেখে। সবটাই সবার জন্য পারফেক্ট হবে তা নয়, তাই আপনার নিজস্ব জ্ঞানবুদ্ধির প্রয়োগ বাঞ্ছনীয়”।

প্রশ্ন ০১: আমি বাংলাদেশে ভাল জব করি। ইনকামও মাশাল্লাহ ভাল। আমার কি কানাডা যাওয়া উচিত হবে?

উত্তরঃ ভাই এবং বোনেরা, আপনারা নিজেরাও জানেন যে এই প্রশ্নের জবাব দেয়া কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। আপনার নিজস্ব লাইফস্টাইল, কেরিয়ার, ফ্যামিলি সহ আরো অনেক বিষয় ইমিগ্রেশন ডিসিশানে গূরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেশে আপনি যতই ভাল জব করেন না কেন, এখানে আসবেন শূন্য হাতে। আবার নতুন করে শুরু করবেন সবকিছু। এই নতুন জীবন একটা নতুন কেনা খাতার মত, যাতে আপনি আবার নতুন করে জীবনের গল্প লিখবেন। কারো গল্প হয়ত রুপকথার মত সুন্দর হবে, কারো হয়ত মাঝামাঝি, আবার কারো হবে উল্টোটা।

আমাদের নিজেদের কথাই বলি, আমাদের প্লেন যখন ঢাকা এয়ারপোর্টের রানওয়েতে চলতে শুরু করল, তখন হঠাতই এক অজানা আতঙ্ক আমাদের দুজনকেই তীব্রভাবে গ্রাস করল। নিজেদের অজানা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে একটা ভয় ঢুকে গেল মনের মধ্যে, শুধু নিজেরা তো নই, সাথে যে ২ বছরের ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছি তাকে আদৌ সুন্দর ভবিষ্যত দিতে পারব কিনা, সেই আশঙ্কায়!

তবে আমার মতে ইমিগ্রেশন যদি করতে চান, তবে যত ইয়ং বয়সে আসবেন ততই ভাল। তাতে ক্যারিয়ার নতুন করে শুরু করলেও হারানোর কষ্ট কম হবে। আমরা দুজনেই আমাদের ৫ বছরের ক্যারিয়ার পেছনে ফেলে এসেছি, এখানে এসে নতুন করে শুরু করেছি। কিন্তু কিছু হারিয়েছি বলে মনে হয়না। আমাদেরই পরিচিত এক দেশী ভাই আছে, তিনিও দেশে ব্যাংকেই জব করতেন, আমাদের তুলনায় অনেকটা উপরের পজিশনে। সেই ব্যক্তি যখন কানাডায় এসে আমাদের লেভেলে জব শুরু করলেন, তখন তার মধ্যে অনেকটা হতাশা আমরা নিজেরাই টের পেয়েছি!!

প্রশ্ন ০২: কানাডায় জব প্রসপেক্ট কেমন?/ আমি কি ধরনের জব পাবো?

উত্তরঃ এইবার আসেন, আসল প্রশ্নে!

জবের ব্যাপারে আমি একটা কথাই বলব, যদি আপনার যোগ্যতা থাকে, আর আপনি আসলেই স্কিল্ড হন তবে আপনার জব না হওয়ার কোন কারন নেই। অনেকেই আমাদের কাছে বিভিন্ন সেক্টরের জব এভেইলেবিলিটির ব্যাপারে জানতে চান, তাদের প্রতি আমার একটাই অনুরোধ, নিজেরা রিসার্চ করেন। এখন প্রশ্ন করতে পারেন, কিভাবে রিসার্চ করব? কোথা থেকে শুরু করব? আসেন, এই ব্যাপারে কিছু আলোকপাত করি।

টিপস ১- জব সার্চঃ indeed.com এটা একটা অনলাইন জব সার্চ ওয়েবসাইট। এবং কানাডার জব মার্কেটে পপুলার জব সাইটগুলোর মধ্যে অন্যতম। আপনার কোন ধরনের জব দরকার সেটা আন্দাজ করে সার্চ শুরু করুন। অনেক জব সার্কুলার পাবেন। সার্কুলারগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন, খেয়াল করুন তারা কি চাচ্ছে। আপনার জব এক্সপিরিয়েন্সের সাথে যায় কিনা দেখুন। আর দেখুন এর জন্য তারা কোন কোর্স বা সার্টিফিকেশন চাচ্ছে কিনা। যদি সম্ভব হয়, সেই সার্টিফিকেশন দেশে থাকতেই করে ফেলুন।

উদাহরনস্বরুপঃ কানাডায় ফাইনান্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রিতে বর্তমানে এন্টি মানি লন্ডারিং –এর খুব ডিমান্ড। এবং এই রিলেটেড জবের জন্য ক্যামস /এক্যামস সার্টিফিকেশন খুব জরুরি। এখন আপনি যদি এই লাইনের লোক হন, যদি জব টাইটেল ঠিক করতে পারেন আর যদি এক্যামস থাকে, তাহলে আপনি একটা না, কয়েকটা জব পেয়ে যাবেন একসাথেই।

টিপস ২: স্যালারি কেমন পাবো?
Glassdoor.com এ যান। যেই জবকে আপনি টার্গেট করেছেন, সেটার ব্যাপারে সার্চ করুন। স্যালারি, ইন্টারভিউ প্রসেস, ইন্টারভিউ কোয়েশ্চেন ইত্যাদি সম্পর্কে ভাল আইডিয়া পেয়ে যাবেন।

টিপস ৩ – LinkedIn
LinkedIn এর নাম নিশ্চই শুনেছেন। যত তাড়াতাড়ি পারেন লিংকডিনে একাউন্ট খুলে ফেলুন, আর যদি লিংকডইন প্রিমিয়াম একাউন্ট খুলতে পারেন তাহলে তো আরো ভাল, কিন্তু এর ফি টা অনেক বেশি।

এবার আপনি যেই জবকে টার্গেট করেছেন কানাডাতে সেই জব করছে এমন কাউকে খুজে বের করুন। প্রথমে দেশি লোকজনকেই খুঁজুন। এড রিকোয়েস্ট পাঠান। তাদের সাথে নেটওয়ার্কিং শুরু করুন। জানার চেষ্টা করুন, কিভাবে নিজেকে তৈরি করলে আপনি জব পাবেন।

ও, আরেকটা প্রশ্ন, লিংকডইন প্রোফাইল কিভাবে ক্রিয়েট করবেন? আর প্রোফাইলে কি লিখবেন? অন্যদের প্রোফাইল দেখুন। কয়েকটা দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে কিভাবে কি লিখতে হবে, অবশ্যই কানাডায় যারা জব করছে তাদের প্রোফাইল ফলো করবেন এই ক্ষেত্রে।

“কানাডাতে ৮০% জব হয় নেটওয়ার্কিং এর ভিত্তিতে, এই কথাটা সত্যি। এমনকি যেই জব আপনি ইন্টারভিউ দিয়ে পাবেন, সেটাও এক ধরনের নেটওয়ার্কিং।“

এখানে প্রায় প্রতিটি কোম্পানিতেই জব এর ব্যাপারে তাদের এমপ্লয়িদের ইন্টারনাল রেফারাল আগে প্রেফারেন্স পায়, তারপরে অনলাইন এপ্লিকেন্টরা। তাই আপনি যদি নেটওয়ার্কিং দেশে থাকতেই শুরু করেন তাহলে কানাডা আসার পর তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন, তাদের কাছ থেকে রেফারাল পাওয়ার সুযোগ তৈরি করতে পারবেন।

প্লিজ প্লিজ প্লিজ, নেটওয়ার্কিং করতে গিয়ে কাউকে অযথা বিরক্ত করবেন না। আর যাকে আপনি চিনেন না, জানেন না, তার সাথে নেটওয়ার্কিং করতে গিয়ে শুরুতেই তাকে একগাদা প্রশ্ন করে বিপদে ফেলবেন না। আমার মনে হয় একবার একটির বেশি প্রশ্ন করলে উত্তর না পাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। যদি সে রিপ্লাই দেয়, তারপরে আস্তে আস্তে আরো ইনফরমেশন জানার চেষ্টা করতে পারেন। আর কেউ যদি রিপ্লাই নাও দেয়, হতাশ হবার কিছু নেই। এখানে সবাই এতই ব্যস্ত থাকে যে, লিংকডইনে নিয়মিত ঢুকার সময় ম্যানেজ করতে পারে না!

টিপস ০৪: এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সি
এতক্ষন যেগুলো বললাম, সেগুলো মূলত দেশে থাকতেই শুরু করে দেয়ার মত। এবার মনে করেন আপনি অলরেডি কানাডায় চলে এসেছেন। এখন কি করবেন? কিভাবে শুরু করবেন?

কানাডায় নিউকামারদের জন্য গভমেন্ট ফান্ডেড কিছু এজেন্সি আছে। তাদের কাজ হল নিউকামারদেরকে জব পাওয়ার জন্য সহযোগিতা করা। তবে সহযোগিতা মানে এই না যে ওরা আপনাকে জব পাইয়ে দেবে, ওদের কাজ হচ্ছে আপনাকে তৈরি করা, রেজুমি তৈরি করা থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রি নলেজ, কানাডিয়ান ওয়ার্কপ্লেস এনভায়রনমেন্ট, বেসিক এটিকেট, মক ইন্টারভিউ ইত্যাদি নানা ভাবে আপনাকে নলেজেবল করে তুলতে হেল্প করবে, যাতে আপনি নিজেই জব এর জন্য ১০০% প্রিপেয়ার্ড হয়ে যান। এসব অর্গানাইজেশন রেগুলার ইন্টারভালে কিছু ব্রিজিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করে, সেখানে পার্টিসিপেট করার চেষ্টা করুন। সত্যি বলছি, এরা আপনাকে জব সার্চের ব্যাপারে খুঁটিনাটি অনেক কিছু শেখাবে, যা সত্যি বলতে কি, অনেক বছর ধরে কানাডা প্রবাসী আপনার অনেক কাছের লোকও বলতে পারবে না, বা তারা হয়ত বুঝবেও না যে আপনার এটা জানা প্রয়োজন!!!

আমি ব্যাংক জবের ব্যাপারে ফোকাসড ছিলাম, নিজেও ব্রিজিং প্রোগ্রামে পার্টিসিপেট করেছি, এবং আমি ১০০% স্যাটিসফায়েড! একটা উদাহরন দেই, আমি ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে দেখি যে আমার ইন্টারভিউ নিবে তার সাথে আমার আগেই পরিচয় হয়েছে, সেই ব্রিজিং প্রোগ্রামে! এবং পরিচিত হবার সুবাদে সেই ইন্টারভিউ আমার অসাধারন হয়েছিল!

এছাড়া আরেক ধরনের এজেন্সি আছে, যারা বিভিন্ন অরগানাইজেশনে কন্ট্রাকচুয়াল বেসিসে লোক নিয়োগে হেল্প করে। ওরা বিনিময়ে আপনার স্যালারি থেকে একটা অংশ প্রতিমাসে কেটে নিবে (ওরা আপানাকে যেই স্যালারি বলবে একচুয়ালি কোম্পানি এর চেয়ে বেশি পে করবে, তো যেই গ্যাপটা হবে সেটাই ওদের কমিশন) এবং আপনি যদি এমন সেক্টরের লোক হন যেখানে পাবলিকলি নিয়োগ খুব একটা হয় না, ইন্টারনাল নিয়োগ হয়, সেই সব জবের জন্য এই এজেন্সিগুলো খুব ভাল মাধ্যম! ব্যাংকিং-এও ব্যাক অফিসের অনেক জব এইভাবে পাওয়া যায়।

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে উপরের বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের কিছু ইনফরমেশন শেয়ার করতে চেয়েছি। আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি কারো কোন উপকারে আসে তবেই এই লেখার সার্থকতা!!!!

শুভরাত্রি!!!

Courtesy: Ayesha Parvin

FB Link : https://www.facebook.com/groups/camigbd/permalink/2038925879484711/

দেশের সেরা কনসালটেন্সি এজেন্সির রেঙ্কিং|Countries Top Ranking Consulting Agency

মুহ্তারামে হাজিরিন, মেলা দিন ফেসবুকে ছিলাম না! বেশ কিছুদিন ব্যক্তিগত প্রজেক্ট নিয়ে চিল্লায় ছিলাম, এই চিল্লা সেই চিল্লা না আর চিল্লা মানেই কাকরাইল মসজিদ না!

মূলত চিল্লা পারসিয়ান শব্দ, নিজের মনের খোরাকের জন্য যে দিকে দু চোখ যায় বলে হাটা দিলেও সেটাও ব্যক্তিগত চিল্লা।

যাই হউক এবার আসি মূল কথায়, দেশে আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না তাই কানাডা এসে ব্যাপক বেড়াছেড়ার মধ্যে পড়ছি। এই দেশে নিজের গাড়ী সবাই নিজে চালায়, এই দেশে ড্রাইভার “মামুন” নাই যে চিল্লাইয়া কৈবাইন “ওই মামুন, গাড়িটা বার করতো……….”

শুধু কি তাই? খাবার দাবার নিয়ে প্যারার অন্ত নাই 😞 এখানে বেবাক কাজ নিজের করা লাগে, মাছ কুটা থেকে সবজি পরিষ্কার! এখানে কুনু মর্জিনা নাই যে হেড়ে গলায় বলবেন, “এই মর্জিনা, পালং শাক ভালো করে কেটে কুটে ধুয়ে রান্না কর, মসলা কম দিবি আর লবন যাতে বেশি না হয়……”

সেই দিন শেষ রে ভাই….

কিন্ত ভাই আপ্নে তো টাইটেল লিখসেন এজেন্সি রেঙ্কিং কিন্তু ওয়াজ করতেসেন পাক ঘরের, ব্যাপারটা কি?

হুম….

আসেন তাহলে মেহফিল শুরু করি, ইমিগ্রেশন অত্যাইন্ত একটা জটিল বিষয়, আর এখানে পান থেকে চুল খসলেই আপ্নে শেষ!

এডুকেশন এসেসমেন্ট, এইএলটিএস, ফান্ড জোগাড়, বিয়াশাদীর কাগজপত্র গোছানো, অফিস থেকে অভিজ্ঞতার পত্র নেয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। এই লিস্ট শেষ হবে নাই ভাই সাব..

এখন কথা হলো এই কাজ কি আমি নিজে করবো নাকি উপরের উদাহরনের মতো মামুন আর মর্জিনাকে দিয়ে করবো?

সহজ হিসাবে, ধরুন এডুকেশন এসেসমেন্ট, এই কাজের জন্য অফিস ছুটি নিয়ে আপনাকেই আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে দৌড়াতে হবে, ফর্ম ফিল আপ করা, সকল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র আপনাকেই যোগাড়যন্ত করে ফেডেক্স ডাব্লিউইএস এ পাঠাতে হবে, এখানে কোনো এজেন্সিই আপনার হয়ে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে দৌড়ঝাঁপ করতে পারবে না. বড় জোড় সে আপনাকে ফর্ম ফিল আপ করে সহায়তা করতে পারে। এখন এইটা আপ্নের কল আপ্নে ফর্ম ফিলাপের জন্য এজেন্সির কাছে যাবেন কিনা…

প্রুফ অফ ফান্ড: আপনার টাকা আপনাকেই ম্যানেজ করতে হবে, কোইত্তে করবেন এইটা আপনার ব্যাপার। কিভাবে এই ফান্ড দেখানো যায় কিংবা কি কি ধরনের ফান্ড ইমিগ্রেশনের জন্য এলওড সেটাও প্লেইন ইংলিশে ওয়েবসাইটে লিখা আছে, এইটা খুজার জন্য আপনাকে অনন্ত জলিল হইতে হবে না, বেসিক গুগল সার্চ করলেই হবে! তবে আপনার যদি সোর্স অফ ইনকামে বেড়াছেড়া থাকে কিংবা কেমনে গুছাবেন বুঝতেসেন না সেটার জন্য আপনি এজেন্সির কাছে যাবেন কিনা সেটা আপনার সিদ্ধান্ত।

এছাড়া আপনার অফিস থেকে এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট, বিয়ের কাবিননাম, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি প্যারাময় কাজ আপনাকেই করতে হবে. এজেন্সি বড়জোর আপনাকে পথ পাতলে দিতে পারে।

এবার আসি অফিসিয়াল এপ্লিকেশনে, এই এক বিংশ শতাব্দীতে সবকিছুই অনলাইন। আপনার প্রোফাইল ক্রিয়েট করা থেকে শুরু করে যত কমিউনিকেশন হবে সবই অনলাইনে, ক্ষেত্র বিশেষে কিছু এক্সেপশন ছাড়া। এখন কথা হলো এই কাজে আপ্নে কতটুকু দক্ষ?

আপনি যদি মনে করেন শালা এই ফর্ম ফিলাপ করতে না পারলে আমি কানাডা গিয়ে কি করবো? যারা কানাডার জন্য এপ্লাই করছেন এদের সবাই দেশে প্রতিষ্ঠিত এবং একটা বড় অংশ কর্পোরেটে কাজ করছেন। এই কাজ করতে না পারা অনেকটা ক্রিমিনাল অফেন্সের মতো!

তবে হ্যা আপনার ফাইলে যদি আগে থেকেই বেড়া ছেড়া লেগে থাকে, যেমন আপ্নে দুইটা বিয়া করছেন 😉, আগে বিভিন্ন দেশে ভিসিট ভিসায় রিজেক্টেড হয়েছেন, এক সাথে মেলা প্রভিন্স এপ্লাই করে বসে আছেন, ঠিকঠাক মতো ট্যাক্স দেন নাই (দেশের টাকা মাইরা খাইসেন), আপনার নামে থানায় কেইস আসে ইত্যাদি যদি হয় তখন অনেক ক্ষেত্রেই অভিজ্ঞ (?), চুল পাকা মানেই অভিজ্ঞ নারে ভাই, বুঝে শুনে রিভিউ নিয়ে কোনো এজেন্সির কাছে যেতে পারেন। এই সমস্যাগুলোর সমাধান চাইলে আপনি নিজেও করতে পারবেন। অনলাইনে অফ লাইনে বন্ধু বান্ধবের থেকে সাজেশন নিতে পারেন তার পর বিসমিল্লাহ বলে ফাইল সাবমিট করতে পারেন।

তবে হ্যা, রিস্ক ট্রিটমেন্টের একটা পন্থা হলো রিস্ক ট্রান্সফার করা, আপনি যদি বিরাট কুতুব হয়ে থাকেন মানে আপনার ওই পরিমান সময় নাই যে এই গুলা নিয়ে নাড়া চারা করার তাইলে আপনি প্রফেশনাল সার্ভিসের শরণাপন্ন হতে পারেন, এতে দোষের কিছু নাই!

হিসাব সিম্পল, কেউ সেইন্ট মার্টিন এর ট্রিপ প্ল্যান নিজে করে তো কেউ আবার ট্যুর এজেন্টদের শরণাপন্ন হয়! এখনে ভালো মন্দ বলে কিছু নাই, যে যার প্রয়োজন মতো প্রফেশনাল সার্ভিসের সিদ্ধান্ত নিবে।

মনে রাখতে হবে এই গ্রূপ প্রফেশনাল সার্ভিসের অল্টারনেটিভ না, এটা একটা কমিউনিটি ফোরাম যেখানে আমরা নিজের খেয়ে বনের মোষ তারাই, কারণ আমাদের ভালো লাগে…

এই ফোরামটা অনেকটা জুম্মার নামাজ শেষে যে লিফলেট বিতরণ হয় তার মতো, কেউ ছুড়ে ফেলে দেয় তো কেউ কুড়িয়ে পরে!

এখন সিদ্ধান্ত আপ্নের!

সারা বিশ্বে প্রফেশনাল সার্ভিস যেমন জনপ্রিয় তেমনি ওপেন সোর্সও সমান তালে জনপ্রিয়।

আপনার সামনে দুইটা দরজায় খোলা!

বুঝলাম কিন্তু উস্তাদ রেঙ্কিংটা?

সেটা ঈদে পরে পাবলিশ করা হবে, কোন ঈদের পরে সেটা ঈদে মিলাদুন্নবীর পর পর জানানো হবে! দেয়া হবে!

সকলের ইমিগ্রেশন যাত্রা শুভ হউক!

Courtesy: Akhlaqur Rahman Rahi

Link : https://www.facebook.com/groups/camigbd/permalink/2037763959600903/

 

কানাডা ইমিগ্রেশন: আপনি প্রতারিত হচ্ছেন না তো?

ইমিগ্রেশন নিয়ে বিভিন্নজনের বিভিন্নরকম প্রশ্ন থাকে। আমি অনেকবার এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে লিখেছি ।তারপরও কিছু কমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। অনেকেই জানতে চান-  ১ ভিজিট ভিসায় এসে কানাডা তে থাকা যাবে কি ? বিয়ে করে কানাডা তে আসা যাবে কি ? কানাডাতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আসা যাবে কি ? IELTS ছাড়া আসা যাবে কি ? eTA visa নিয়ে আসা যাবে কি ? এক কথায় সবগুলো প্রশ্নের  উত্তরই হলো-  না ।

তারপরও আবার জিজ্ঞাসা করেন যে কেন না – বুঝিয়ে বলুন, অমুক এজেন্সি তো বলেছে আসা যায় । আপনি ‘না’ বলছেন, দেখবেন চার মাস পর আমি আসবই । আমার উত্তর – হ্যাঁ বেড়াতে আসতে পারবেন,কিন্তু ইমিগ্রেশন এর জন্য আপনি এলিজেবল না,  তাই ইমিগ্র্যান্ট হয়ে আসতে পারবেন না । যারাই এরকম এলিজেবল না হয়ে ও আসবেন বলে চ্যালেঞ্জ করেছেন কেউই এখন পর্যন্ত আসতে পারেন নি। কারণ উনাদের কে আমিও চ্যালেঞ্জ করেছি যে আসার পর অবশ্যই ইনবক্স এ জানাবেন আর কানাডাতে আছেন এমন ছবি দেবেন।  এখন ও উনারা সেটা পারেন নি । ইনবক্স এ বুঝাতে বুঝাতে আর পারি না । না মানেই না , No means no .

অনেকেই আবার বলেছেন যে আপু টাকা তো দিলাম কিন্তু ফেইক ভিসা পেলাম । কেউ কেউ বলেছেন আপু শিওর আফটার ভিসা টাকা দেওয়া ,সবাইকেই আমি ‘না’ বলেছি । যেটা হয় না সেটা কে হয় যারা বলেন, উনারা যতই সত্যবাদি হোন না কেন শেষ পর্যন্ত কিন্তু আপনি প্রমাণ পাবেন ই যে উনারা মিথ্যা বলেছেন।  কিন্তু ততদিনে আপনার মূল্যবান টাইম নষ্ট হবে, হয়তো বা আপনার অনেক টাকা ও উনাদের পকেটে যাবে । তাই সময় থাকতে সাবধান হোন ।

আমি কখনোই কাউকে মিথ্যা ভিসার আশ্বাস দেইনি।  নিজের বিবেক দিয়ে,নিজের বুদ্ধি দিয়ে যাচাই করে সি আই সি তে(http://www.cic.gc.ca/english/ ) কি বলা হয়েছে সেটা ভাল করে বুঝে তারপর ঠিক করুন, যে সত্যি আপনি আসতে পারবেন না কি পারবেন না । আসার জন্য আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন , আপনি ভিসা পাওয়ার যোগ্য না হলে কানাডা গভর্নমেন্ট আপনাকে ভিসা দিবে না এটাই হল সত্য কথা । আপনি যোগ্য হলে আর কানাডা গভর্নমেন্ট এর নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করলে কানাডা গভর্নমেন্ট আপনাকে ভিসা দিবে । আমি অনেকদিন থেকে আপনারা যারা কানাডার ভিসা আবেদন এর জন্য আমার সাথে ইনবক্স এ কথা বলেছেন উনাদের অনেকের থেকে কিছু কথা জেনেছি সেই কথাগুলো হল ।

১ আপু আমাকে তো তারা বলছে ভিসা হবে কিন্তু আপনার কাছ থেকে বিস্তারিত বুঝে আমি এখন বুঝলাম যে আমি আপ্ল্যাই করলে ও ভিসা হবে না শুধু শুধু টাকা যাবে ।

২ আপু যিনি বলেছেন তিনি তো আমার আত্মীয় হোন এখন আমি উনার কথা বিশ্বাস করব নাকি আপনার কথা ? আমার সোজা উত্তর , উনি আপনাকে মিথ্যা ভিসার আশ্বাস দিয়ে টাকা চাইছেন উনি আপনার কেমন আত্মীয় বলুন তো প্লিজ ? আজকাল যে যুগ ভাই ও ভাই কে ঠকায় আর উনি তো আত্মীয় , সব তো জানলেন এখন আপনি ঠিক করুন কি করা উচিত ।

৩ আপু তারা তো কানাডা থেকে অফার দিচ্ছে , ফেইক হবে কেন ? আমার উত্তর কোন কানাডিয়ান কখন ও বাটপারি করবে না ভাই এটা আমি শিওর । আমি চেক করে দেখেছি আপনি ও ভাল করে চেক করে দেখুন তারা কানাডিয়ানদের মতো নাম ব্যবহার করছে , কানাডার ঠিকানা ব্যবহার করছে , খুব সুন্দর করে সবকিছু বলছে কিন্তু তারা যেটা বলছে সেটা হয় না , সি আই সি থেকে না বলা হচ্ছে , আপনি একটু ভাল করে চেক করে দেখলেই বুঝবেন যে তারা আসলে যে কোন দেশের ইমিগ্র্যান্ট , তারা কানাডিয়ান নয় শুধু মাত্র নকল নাম ঠিকানা ব্যবহার করছে তাই তারা মিথ্যাবাদি আর একজন মিথ্যাবাদি আপনাদের কে কি সত্যি ভিসা দিতে পারবে ভাবুন তো আবার ?

৪ আপু এই ভিসাটা একটু দেখেন তো প্লিজ রিয়েল নাকি ফেইক । আমার উত্তর এটা ফেইক ভিসা । ধন্যবাদ আপু আপনি বলায় আমাদের টাকা গুলো বেঁচে গেল তাহলে আর এটার জন্য টাকা দেব না ।

৫ আপু এই ভিসাটা রিয়েল নাকি ফেইক আমরা নিজের হাতে এনেছি ও তাদের কে দুই লাখ ,কেউ বা বলছেন তিন লাখ বা এরকম ই লাখ টাকা কিন্তু দিয়ে দিয়েছি আপু । আমার উত্তর এটা ফেইক ,আপনি কেন না বুঝে টাকা দিলেন ? উত্তর আপু আমাদের থেকে তারা টাকা নিয়ে নিয়েছে তারা অনেক পাওয়ারফুল আর আমরা জানতাম না যে WORK PERMIT VISA , হয়না ।

৬ আপু তারা তো বলছে IELTS ছাড়া ESL COURSE করতে আসা যায় । আমার উত্তর এই দেখেন কানাডা থেকেই স্টুডেন্টরা বলছেন , “আপু ESL course নিয়ে আসা ঠিক নয় । তাছাড়া ভিসা ও পাবেন না । এটার পিছনে টাকা দেওয়া ঠিক নয় আপু । ”

৭ আপু আপনি বলায় বুঝলাম যে এগুলো মিথ্যা কথা । উনি তো বলছিলেন যে কানাডিয়ান কোম্পানিতে জব হবে ,আফটার ভিসা পেমেন্ট । আপনাকে , অনেক ধন্যাবাদ ।আপু আপনি কষ্ট করে বুঝিয়ে বলায় আমার ৩০ লাখ টাকা বেঁচে গেল । আমার উত্তর কি বলেন ৩০ লাখ টাকা চেয়েছিল ? ৩ লাখ নাকি ৩০ লাখ লিখেছেন ভাই ? আপু ৩০ লাখ । আপনাকে ও ধন্যবাদ ভাই ।আল্লাহ আপনার টাকাগুলো বাঁচালেন ।

৮ আপু উনি তো U.K থাকেন কেউ বা আর অন্য দেশের নাম বলছেন । উনি অনেক ভালমানুষ ,উনার অনেক পাওয়ার উনি বলেছেন রেস্টুরেন্ট এর জব হবে , আফটার ভিসা পেমেন্ট । আমার উত্তর আপনাকে না অনেকবার বুঝিয়ে বলেছি এগুলো হয়না , ঠিক আছে আপনার ইচ্ছা হলে টাকা দেন । উনি যতই পাওয়ারফুল হন সেটা বিষয় নয় ,বিষয় হলো উনি যেটা বলছেন সেটা মিথ্যা বলছেন । উনি মিথ্যা বলছেন তাহলেই বুঝুন উনি কেমন ভালমানুষ ? আপনার টাকা আর আপনি আসতে চান ,ইচ্ছা হলে টাকা দেন আমি কি করব বলুন ? আমার যেটা বলার আমি বলেছি বাকি আপনার ইচ্ছা । আমাকে আর বারবার বিরক্ত করবেন না একবার বলেছি তো ভিসা পেলে ও ফেইক ভিসা পাবেন বুঝেশুনে টাকা দিবেন । May allah help you.

hi apu . আপনাকে না ,না করেছি ,আপনি আবার নক দিয়েছেন ? আপু কেমন আছেন ? প্লিজ রাগ করবেন না । আমার উত্তর ভাল আছি । না রাগ করিনি বলুন আজ আবার কি জানতে চান ? আপু কিছুই জানতে চাই না । আপনি বলায় আমার অনেক উপকার হয়েছে এখন আমি বুঝতে পেরেছি যে উনি মিথ্যা বলছেন তাই আর আসব না । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু । আল্লাহ আপনার ভাল করুন । আপনার পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভাল থাকুন আপু । হুম , ওয়েলকাম । আপনি ও ভাল থাকুন । আশা করি এবার বুঝতে পেরেছেন যে ভিসা এভবে হয়না তাই আর কাউকে টাকা দিবেননা প্লিজ ।

৯ আপু কেউ স্পন্সর করলে কি কানাডা তে আসা যায় ? আমার উত্তর না ভাই । ফ্যামিলি ভিসায় ছাড়া কেউ কাউকে স্পন্সর করতে পারেন না । ওহ । ফ্যামিলি ভিসা কি আপু ? ঐ যে যারা কানাডাতে থাকেন উনারা উনাদের husband / wife , parents , grandparents k sponsorকরে আনতে পারবেন এটাকে বলে ফ্যামিলি ভিসা । এই যে কয়েকজন এর কথা বললাম এরা ছাড়া আর কাউকে ফ্যামিলি ভিসায় আনা যায়না । আশা করি বুঝতে পেরেছেন ।

হুম আপু বুঝেছি । অনেক ধন্যবাদ ।

১০ আপু আপনি কানাডা থাকলে কি হবে ,আপনি অনেক কিছুই জানেন না , ফারমার ভিসায় কানাডা আসা যায় । প্লিজ একটু খবর নিয়ে জেনে দেন না । একজন বলছেন এভাবে আসা যাবে ,আসতে পারলে আমার অনেক ভাল হতো ।

আমার উত্তর এই যে দেখেন About farmer visa all info . asben naki atto taka khoroc kore ? তাছাড়া এটা বাংলাদেশীদের জন্য ভাল নয় বিদেশীরা হয়তো এভাবে আসেন কেউ কেউ ।

ঠিক আছে আপু বুঝেছি । তাহলে আর এটার জন্য এপ্ল্যাই করব না ।

হুম সেটাই করবেন , যারা আপনাকে এসব বলছেন তারা শুধু টাকা নেওয়ার জন্য বলছেন ।সাবধান আমার সাথে না বুঝে কাউকে টাকা দেবেননা প্লিজ ।

১১ আপু কানাডা তো এখন অনেক সহজ করেছে আর আপনি না করছেন ।

আমার উত্তর কি সহজ করেছে ভাই একটু বুঝিয়ে বলবেন কি ,আমি তো সহজ কিছুই দেখি না । সব আগের মতোই আছে , আপনি এলিজেবল হলে আসতে পারবেন আর না হলে নাই ।

এই যে দেখেন আপু , http://notundesh.com/news/159dda5f307f18 .

হুম এটা তো জানি কারণ আমি এখানেই থাকি । আর নতুন দেশ এর লিখা ও পড়েছি, maybe ami share o koreci .

এটাতে আপনাদের কি সুবিধা হবে বলুন তো প্লিজ ? না আপু সবাই যে বলছেন এখন কানাডাতে আসা অনেক সহজ তাড়াতাড়ি PR পাওয়া যাবে ।

হুম এটার সাথে PR পাওয়ার কি সম্পর্ক কি বলুনতো ?

এটা তো আমরা যারা অলরেডি কানাডার PR পেয়েছি কিন্তু এখন ও নাগরিকত্ব পাই নাই আমাদের সুবিধা । যারা কানাডাতে আসার জন্য এলিজেবল নন উনাদের জন্য এটা আলাদা কোন সুবিধা নয় বা দরকারি নয় । যারা কানাডাতে PR কার্ড নিয়ে আছেন বা যারা PR কার্ড নিয়ে কানাডাতে নতুন আসবেন উনাদের জন্য ও যারা কানাডাতে পড়তে এসেছেন আর এখন ও PR card পান নি বা ভবিষ্যতে পড়তে আসবেন সেসব ছাত্রছাত্রীদের জন্য ও এটা সুবিধাজনক । আর যারা কানাডা ইমিগ্রেশন এর আপ্ল্যাই করার জন্য এলিজেবল নয় উনাদের জন্য এটা কোন বাড়তি সুবিধা নয় বা দরকারি নয় । আশা করি বুঝতে পেরেছেন । অনেক ধন্যবাদ । কানাডার ভিসার জন্য লাখ লাখ টাকা আর দেবেন না দেবেন না । কিভাবে ভিসা হয় জেনে নিতে ভুলবেন না ভুলবেন না । আমি আপনাদের জানাতে চাই , জেনে বুঝেই ভিসার আবেদনটা করুন না ,করুন না ।কানাডার ভিসার জন্য পাগল হয়ে ছুটছেন ? সাবধান , এজেন্সি , আত্মীয়, ফেইসবুক পেইজ ,দালাল , ভি এফ এস সবাই কিন্তু আপনাকে ধোকা দিবে । বাংলাদেশ থেকে অনেকেই আমাকে বলেছেন যে উনাদের লাখ লাখ টাকা এভাবে এদের বাটপারির জন্য গিয়েছে , আমি প্রমাণসহ দেখিয়ে দিতে পারব । তাই আপনাদের সবার কাছে আমার বিনীত অনুরোধ কিভাবে কানাডার ভিসা পাওয়া যায় ,মানে কানাডাতে আসতে কি কি যোগ্যতা লাগে সেটা বুঝুন প্রথমে । আপনি কানাডা আসার যোগ্য হলে ভিসা পাবেন আর না হয় কেউ আপনাকে ভিসা দিতে পারবে না , আমি আবার বলছি না না না ,এদের কেউ ই আপনাকে ভিসা দিতে পারবে না । আপনি আপনার যোগ্যতা দিয়ে ভিসা পাবেন , টাকা দিয়ে নয় , এদের মিথ্যা আশ্বাসে নয় ।আপনি কানাডা এর ভিসা পাওয়ার যোগ্য কিনা বিস্তারিত জানতে আমাকে ইনবক্স করতে পারেন । আবার ও বলছি না জেনে না বুঝে কাউকে টাকা দিবেন না ।ধন্যবাদ সবাইকে ।অনেকবার অনেকভাবে বলেছি ,আজ আবার সহজ করে বলি ,প্লিজ ফেক ভিসা বা ফেক ওয়ার্ক পারমিট এর পিছনে ছুটবেন না ।যখন ই কেউ বলবেন কানাডার ওয়ার্ক পারমিট , ওয়ার্ক ভিসা বা জব অফার লেটার দিব তখন ই বুঝবেন উনি বা উনারা বাটপার । বাটপার কে চেনার সহজ উপায় ,কানাডার ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট দেবে বলে যারা তারাই বাটপার । তারা এমন ও বলে যে vfs থেকে নিজে ভিসা তুলবেন এসব কথায় বিশ্বাস করলেই আপনার টাকা ও সময় নষ্ট হবে । কানাডার ভিসা এভাবে হয়না ,কি করে কানাডার ভিসা পাবেন জানতে আমাকে ইনবক্স করার অনুরধ করছি । কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ও eTA viisa সেগুলো তো বাংলাদেশীদের দেওয়া হয় ই না ।

কানাডার ভিসা দিল্লী থেকে নয় ,সিঙ্গাপুর থেকে হয় আর সেটা সবাইকে দেওয়া হয় না । সেটা পেতে হলে অনেক যোগ্যতার দরকার ,আপনি সেটার যোগ্য কিনা জানতে আমাদের সাথে থাকুন ,আমাকে ইনবক্স করুন প্লিজ । vfs থেকে ভিসা আনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হলে আপনার টাকা ,টাইম , প্রাণ সবই যাবে ,তাই সময় থাকতে সাবধান হন । প্রতারণা থেকে নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচান ।কিভাবে বাঁচবেন ? সঠিক তথ্য জেনে তারপর কানাডা এর যে কোন রকমের ভিসার জন্য আবেদন করুন । সঠিক তথ্য কই জানবেন ? এখানে জানুন ,http://www.cic.gc.ca/english/index.asp ।তারপর ও না বুঝলে আমাকে ইনবক্স করুন প্লিজ ।সবার মঙ্গল কামনায় আমি । আল্লাহ সবাইকে প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষা করুন ,আমিন ।

eTA নিয়ে কিছু কথা ও শেয়ার করলাম ,সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন প্লিজ ।

বাংলাদেশের মিডিয়ায় কানাডায় সিটিজেনশীপ, পি আর,শর্ত ছাড়াই সহজ এন্ট্রি ‘র চটকদার বিজ্ঞাপন

এত বড় বিরক্তিকর লিখাটার জন্য আমি দুঃখিত আর আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলাম ,আশা করি ক্ষমা করবেন । কষ্ট করে ধৈর্য ধরে লিখাটা পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যাবাদ । অনুরোধ রইল লিখাটা শেয়ার করবেন তাহলে কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন বা ভিসা এর আবেদন এর জন্য কি করবেন না করবেন সেটা বুঝতে হয়তো আনেকের সাহায্য হবে ও উনারা বারবার চিন্তা করে জেনে বুঝে আবেদন করবেন । আর সব জেনে বুঝে আবেদন করলে , উনাদের টাকা ও সময় অযথা নষ্ট হবে না । সবার স্বপ্ন সফল হোক ; সঠিক প্রসেস কিভাবে হয় সেটা জেনে সঠিক উপায়ে কানাডাতে আসুন এই কামনা রইল । পরিশেষে একটা কথা বলি আপনারা কানাডাতে আসলে বা না আসলে আমার কোন ক্ষতি হবে না বা লাভ ও হবে না । তবে আমার এই লিখা থেকে কেউ উপকৃত হলে হয়তো বা আমার এটাই লাভ হবে যে , কখন ও আপনারা নিজের অজান্তেই হয়তো বলবেন আপুর লিখাটা পড়ে জানতে পারায় আমাদের টাকা বাঁচল , অথবা বলবেন আপুর লিখা পড়ে জানতে পারায় আমরা সঠিক ভাবে আবেদন করে কানাডাতে আসতে পারলাম । বলা তো যায় না আসার পর কখন ও দেখা ও হতে পারে । আমার লিখা পড়ে আপনাদের যদি কোন উপকার হয় সেটাই আমার সার্থকতা , আমার আনন্দ । আর কেউ উপকৃত না হলে ও আমি দুঃখিত নয় । আমি যে আপনাদের কে সত্য টা জানাতে পেরেছি এটাই আমার আনন্দ ।

Courtesy:

Yasmin Chowdhury

ইয়াসমিন চৌধুরী (লেখকের ফেসবুক পোষ্ট)
https://www.facebook.com/groups/camigbd/permalink/1748151051895530/

কসাই আর মেকানিক নিচ্ছে কানাডা!

হেলো, কুনু কসাই আছেন?

কসাই?

কি কন মিয়া ভাই? বকরা ঈদ তো এখনো মেলা দেরী! এখন কসাই দিয়া কি করবাইন?

ইয়ে মানে সেদিন এলাকার এক পরিচিত বড় ভাই ফুন দিয়া কয়…

হেলো, কিরে রাহী কানাডায় নাকি কসাই নিচ্ছে!

আমি কি যাইতে পারবাম?

মিটিং মিছিলে রামদা আর নানচাক্কু দিয়া মাশাল্লাহ কুপাকুপি করার আমার বেশ নাম ডাক! সেদিনও একটারে হাসপাতালে পাঠাইসি।

ইয়া মাবুদ, হেলো হেলো নেটওয়ার্কে সমইস্যা বইলা লাইন কাইট্টা দিসি!

হেরে কেমনে বুঝাই, এই কসাই সেই কসাই না রে ভাই!

হুম, কানাডা কসাই খুজতেসে কথা সত্য তবে কুপাকুপি কসাই না। আসল কসাই, যার পোশাকি নাম মিট কাটার। এই পেশায় এপ্লাই করতে হলে আপনাকে মাংশ কাটা এবং প্রসেস করার অভিগ্যতা থাকতে হবে। কোরবানীর গরু না মিয়া ভাই, সিজনাল কসাই না মিয়া ভাই, প্রফেশনাল মিট কাটার চাই।

এই ধরুন মাছ, মুরগী, গরু কেটেকুটে বিক্রি করার অভিগ্যতা।

উদাহরন?

স্বপ্ন, বেঙ্গল মিট কিংবা মিনা বাজারে দেখেন নাই? মেশিন দিয়ে চক্ষের পলকে পুরা রান পিস পিস করে আপনার চাহিদা মত কেটে দেয়? আবার আপনে যদি এই কসাইদের সুপারভাইসার হন তাতেও সমস্যা নাই।

এই ভাইদের কানাডা আতসী কাঁচ দিয়ে খুঁজছে, খুঁজে পাইলে গুম করে কানাডা নিয়েও আসতে পারে :p

কিন্তু সমস্যা অন্যখানে…

এখানে প্রায় সব প্রফেশনের জন্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা দরকার!

ধুর মিয়া, বাংলাদেশের কুনু ইউনিভার্সিটিতে কি আর মাছ মাংশ কাটার উপর ব্যাচেলর ডিগ্রি দেয়?

আহা, শিক্ষাগত যোগ্যতা মানেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় না ভাউ! ভকেশনাল থেকে ডিগ্রি হলে চলবে, ট্রেইনিং হলেও চলবে…

কোনো কোন প্রভিন্সে লাইসেন্স মেন্ডাটরি হলেও অনেক প্রভিন্সেই এই লাইসেন্স ভলান্টারি মানে না হলেইও চইলবে।

ও হ্যাঁ, আইইএলটিএস এর ফলাফলেও রয়েছে যথেস্ট শিথিলতা।

সমস্যা হলো, কসাই এবং ইংরেজী দক্ষতা এক সাথে পাওয়া বেঙ্গল মুল্লুকে বেশ দুষ্কর হলে বিশ্ব বাজারে অনেক দেশই কম্পিটিটিভ লেবার সাপ্লাই দিচ্ছে যার মধ্যে অন্যতম হলো ফিলিপিন।

তবে একটু সময় দিয়ে নিজেকে তৈরী করলে কানাডা মাইগ্রেশন খুব কঠিন নয়।

শুধু মিট কাটার না বরং মেকানিকরাও কানাডা পাড়ি দিতে পারবেন। কারা সেই মেকানিক?

বাসা বাড়ীর বিদ্যুতের লাইন ঠিক করা, ফ্রিজ-জেনারেটর সাড়াই, ট্রাক/বাস/গাড়ির সমস্যা ঠিক করা, মেশিনারী দোকানের কাজের অভিগ্যতা, তাতাল দিয়ে ঝালাই করা ইত্যাদি ইত্যাদি।

এই সব প্রফেশনের জন্য বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সেকেন্ডারী এডুকেশন হলেই হয়। তবে ট্রেড সার্টিফিকেট বা ট্রেনিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আইইএলটিএস এর ব্যাপারেও আছে বেশ শিথিলতা!

তাহলে আর দেরী কেন?

কানাডা হোক সবার জন্য 

একটা হিন্টস দেই, সাস্কাচুয়ানের ডিমান্ড লিস্টে একটু ঘুরে আসুন পেয়ে যাবেন মিট কাটার, মেকানিক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেকানিক, হেভি ডিউটি ইকুয়েপমেন্ট মেকানিক, অটোমোবাইল মেকানিক, বাস ট্রাক মেকানিক, মটর গাড়ি বডি রিপেয়ার, কৃষি ব্যবস্থাপক ইত্যাদির মত বেশ মজার প্রফেশনের ছড়াছড়ি।

উনারা তো বলেই দিছেন, এই সকল প্রফেশনের ডিমান্ড এখন তুঙ্গে।

নিজেকে প্রস্তুত করে আপনিও এই সুযোগ নিতে পারেন।

আবারও বলছি, শুধু ইঞ্জিয়ার ডাক্তার না, কানাডার হোক সবার জন্য 

শুভ কামনা 

(অনেক দিন কাচ্চি খাই না, যদি দেশে আসলে কেউ দাওয়াত দেয় :p )

 

Courtesy: Akhlaqur Rahman Rahi

পর্ব ০১: https://goo.gl/Tt6RfL
পর্ব ০২: https://goo.gl/D7ubwX
পর্ব ০৩: https://goo.gl/UHX3rg
পর্ব ৪ঃ https://goo.gl/ZAbwMc
পর্ব ০৫ঃ https://goo.gl/56gUiy
পর্ব ০৬ঃ https://goo.gl/gNPfjH
পর্ব ০৭ঃ https://goo.gl/Q7CXGa
পর্ব ০৮ঃ https://goo.gl/C5UqFg
পর্ব ০৯ঃ https://goo.gl/tgvPS1

THE IDEAL LETTER OF REFERENCE

How your letters of reference are formatted can make a big difference to the success of your file. The letter needs to be formal, and the more information it includes about the company issuing it, the better. Ideally, a letter of reference should:

Be written on company letterhead Be signed by the responsible officer/supervisor Have the responsible officer/supervisor’s name and job title printed beneath the signature Include the company’s contact information Be stamped with the company’s official seal (if applicable)If possible, have the business card of the person signing it attached.

If your letters of reference don’t have these things, it might be a red flag to the visa officer that the employer issuing the letter is not genuine.

There are also specific things that an ideal letter of reference should include:

  1. Your official job title
  2. The dates of your employment
  3. Your salary per week
  4. Your average hours per week
  5. A detailed list of your employment duties.

The most important part of your letter of reference is the detailed list of your employment duties. It has to include your daily tasks and responsibilities, and should make up most of the content of the letter. Remember, the visa officer is not necessarily familiar with your industry, so make sure you avoid industry specific abbreviations or terms.

Your duties should be listed clearly and concisely.

The list of employment duties is how the visa officer confirms that you’ve chosen an appropriate NOC code. Every NOC code has an associated lead statement and list of duties. It doesn’t matter if your official job title doesn’t match up with a job title associated with your NOC code, as long as your employment duties match the lead statement and duties.

That said, it’s suspicious if your letter of reference matches the NOC description exactly.

The visa officer might believe that your letter of reference was created for the purposes of matching the NOC, rather than being an actual record of your work experience. In that case, the letter is considered “self-serving”, fraudulently obtained for immigration purposes, and not eligible for processing.

Courtesy: WhatsApp Group

A typical email format of “SINP Program Integrity”

 

The Program Integrity Unit (PIU) of the SINP was established to safeguard the integrity of our program and to ensure that applicants are adhering to our program criteria, policies and procedures. This includes ensuring that the information and documents submitted by applicants are authentic and that misrepresentation has not taken place. Your file is currently under review with the Program Integrity Unit of the SINP due to a lack of verifiable information contained in the work experience documents submitted with your SINP application. We are prepared to provide you with an opportunity to provide additional information that will satisfy our office that misrepresentation has not taken place.

Program Integrity requires the following information from you within ten (10) business days from the date of this letter.

1) Verifiable work experience references. You must provide two (2) separate work experience references from your current or most recent employer. Each work experience reference must be submitted with the following information.

  • Business card or information showing the official title of each work experience reference.
  • Email address for each work experience reference.

NOTE: If the company uses a 3rd party provider, (Gmail/Yahoo/Hotmail et al.), as their business email, your Employer must provide the SINP with the main registration (home) page of that 3rd party email provider showing when the email account for the business was registered. These 3rd party email providers will not be accepted for verification without this information.

  • Telephone number for each work experience reference.

NOTE: Mobile numbers will not be accepted for your work experience reference.You must ensure that your two (2) work experience references know that they will be contacted directly by SINP Program Integrity for further verification of your work experience with the company._____________________

2) Proof of company operations.

  • Provide links to any internet pages which reference your company such as directories, business reviews, testimonials or professional association pages etc., so we can verify the existence of the company for which you work.
  • Proof of the physical address of the business.
  • Provide a copy of the business registration for your current employer.
  • Provide promotional or catalogue materials produced by your company
  • Provide any additional documentation which will assist SINP Program Integrity in validating your work experience.

3) Proof of Employment

Please provide at least one (1) of the following documents as further confirmation of your employment;

  • Employee Pension or Provident fund statement.
  • General Tax Form (Form 16) or Taxation Exempt (Tax Free) Form.
  • Income Tax Return Acknowledgement (ITR) form
  • Employee State Insurance

4) Proof of Salary

  • Please provide documentation that you received the payment of wages from your Employer such as payroll documentation or bank deposit information.

NOTE: If you were paid in cash, please have your employer provide the SINP with signed receipts of payment that they provided with your cash payment or company records of your payments.

You must submit your information within ten (10) business days of receiving this letter by email.

Failure to respond within ten (10) days will result in your file being deemed ineligible by SINP Program Integrity and may result in a two year suspension from the use of any SINP programs or services.

Fraud is a criminal offense in Canada so if it is further determined that misrepresentation has occurred, information regarding your file may be shared with other immigration authorities in Canada including the other Provincial Nominee Programs (PNP) and the federal government represented by Immigration, Refugees and Citizenship Canada (IRCC).

You may send your information to SINP Program Integrity by email at

immigration.programintegrity@gov.sk.ca.

Sincerely,

SINP Program Integrity

Courtesy: WhatsApp Group

পর্ব ০৪ঃ কানাডার লাইফ স্টাইল আর খরচাপাতি?

কানাডার আবহাওয়া মূলত ঠান্ডা হলেও কিছু কিছু প্রভিন্সে গ্রীষ্মকালে অসহনীয় গরম পরে। পরিসংখ্যান ঘাটলে দেখা যাবে ১৯৩৭ সালে সাস্কাচুয়ানে গ্রীষ্মকালে গরম ৪৫ ডিগ্রিতে গিয়ে ঠেকেছিলো। ভ্যাঙ্কুভার ছাড়া প্রায় সকল প্রভিন্সেই শীতকাল বেশ রয়েসয়ে কাটাতে হয়। গড় তাপমাত্রা -১৫ থেকে -২০ এর মধ্যেই থাকে। আমাদের দেশে যেমন সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, হিট ওয়েভ কিংবা শৈত্য প্রবাহ জনজীবন দূর্বিসহ করে তুলে তেমনি এই মুল্লুকে স্নো স্ট্রোম বা তুষার ঝড় শীতকালে নিয়মিতই নিত্যনৈমিত্তিক কাজে ব্যঘাত ঘটায়। ১৯৪৭ সালে ইউকন টেরিটরিতে একবার তাপমাত্রা মাইনাস ৬৩ (-৬৩) ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যায়। অনেক বড় প্রভিন্সের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা -৪০ থেকে -৫০ এর ঘরে নেমে যাওয়ার নজির আছে। তবে এই এক্সট্রিম আবহাওয়া বেশী দিন স্থায়ী হয় না কিন্তু গড়ে অনেকে প্রভিন্সেই হিমাঙ্কের নিচের তাপমাত্রা বহাত তবিয়তে চার থেকে পাঁচ মাস বজায় থাকে।

তাহলে কানাডা কি আসলে বসবাস যোগ্য?

অবশ্যই বসবাস যোগ্য! এই ঠান্ডা কিন্তু হঠ্যৎ করে আসেনি। উত্তরের আবহাওয়া বরারবরই এমন আর তার সাথে মানিয়ে চলার জন্য আপনাকে প্রপার জামা কাপড় পড়ে রাস্তায় বের হতে হবে। কানাডার বেশীরভাগ প্রভিন্সের বড় শহরের ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম অত্যন্ত চমৎকার! বাস, মেট্রো রেল কিংবা সি-বাস প্রতিটি পাবলিক ট্রান্সপোর্টের মধ্যেই হিটিং সিস্টেম বাধ্যতামূলক। গুগল ম্যাপ বা সিটির বিশেষায়িতই মোবাইল এপ্লিকেশন দিয়ে আপনি লাইভ বাস মনিটর করতে পারবেন। বাস স্টপে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার দিন শেষ। মুঠোফোনে বাসের গতিবিধি এবং আবার বাস স্টপে বাস পৌছানোর সময় দেখে আপনি সহজেই সময়ক্ষেপণ ছাড়াই বাসে চড়তে পারবে।

বুঝলাম কিন্তু টিকিট?

হুম, পাবলিক ট্রান্সপোর্টের টিকেটিং ব্যবস্থাও অত্যন্ত চমৎকার! আপনার হাতে সাকুল্যে ২টা অপশন থাকবে। অপশন ১ঃ বাসে উঠে নির্ধারিত কয়েন বক্সে একে এক কয়েন ড্রপ করতে থাকবেন আর যখনি কয়েন দিয়ে টিকেটের মূল্য পরিশোধ হয়ে যাবে ড্রাইভারের পাশের টিকেটিং সিস্টেমে সবুজ বাতি জ্বলে উঠবে। এখানে ভাংতির কোনো সিস্টেম নাই, ড্রাইভারের কাছে কানাকড়িও থাকে না আর হেল্পার থাকার কথাও ভাবাও যায় না! টিকেটের সম পরিমাণ কয়েন আপনাকেই ব্যবস্থা করতে হবে। ধরুন টিকেটে মূল্য ৩ ডলার ২৫ সেন্ট কিন্তু আপনার কাছে আছে ২ ডলারের ২টা কয়েন মানে ৪ ডলার। হিসাবে আপনার ৭৫ পয়সা ফিরত পাবার কথা, কিন্তু ক্যাশলেস সিস্টেমের কারণে আপনার অতিরিক্ত পঁচাত্তর পয়সা ফিরত পাবেন না। আবার ধরুণ আপনি বিপদে পরেছেন, মানিব্যাগের সকল গোপন কুঠুরি হাতরে ৩ ডলার পেয়েছেন, অর্থ্যাৎ আপনার এখনো ২৫ পয়সা ঘাটতি! বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আপনি ড্রাইভারকে অনুরোধ করলে সে আপনাকে বাকি টাকা ওয়েভ (মাফ) করে দিবে।

ইয়া মাবুদ, কয়েনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে কি আবার মাটির ব্যাংকের প্রথা ফিরায়ে আনতে হবে?

মুহতারামে হাজিরিন, এখানের যারা বাসে চলাচল করেন তাদের ৯০ ভাগ মাসিক বাস পাস করে থাকেন। নির্ধারিত মূল্যের বিনিময়ে আপনি মাসিক পাস কিনতে পারবেন আর বাসে উঠার সময় নির্ধারিত স্থানে কার্ড পাঞ্চ করে দিব্বি যাতায়ত করতে পারবেন। মাসিক বাস পাসের ক্ষেত্রে আপনি যতখুশি তত বার উঠানামা করতে পারবেন, আনলিমিটেড এক্সেস! তবে এর জন্য আপনাকে গড়ে ১০০ ডলার গুনতে হবে। প্রভিন্স ভেদে এই রেট আবার উঠা নামা করে। ভালো খবর হলো এই মূল্যের উপর আপনাকে ট্যাক্স প্রদাণ করতে হবে না আর এই মাসিক কার্ড দিয়ে শুধু বাস না বরং আপনি বাস, রেল এমন কি সি-বাস (বাংলাদেশের ফেরীর মত) পর্যন্ত সার্ভিস উপভোগ করতে পারবেন।

কিন্তু আমি যদি গাড়ী কিনি?

অবশ্যই, এখানে গাড়ি খুবই মামুলি ব্যাপার। এমন অনেক স্টোর দেখবেন যেখানে ক্যাশিয়ার ২০১৭ ল্যাটেস্ট মডেলের ফোর্ড চালায় তো দোকানের মালিক মারুতি চালাচ্ছে! আপনি পার্ট টাইম চাকুরীতে জয়েন করলেই লোনে গাড়ী কিনতে পারবেন। বাংলাদেশের মত এখানে আকাশ ছোঁয়া ইন্টারেস্ট না, ইন্টারেস্ট বেশ সহনীয়। আপনি চাইলে কিছু টাকা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে শোরুম থেকে গাড়ী কিনতে পারবেন বাকি টাকা মাসে/সপ্তাহে নির্দিষ্ট ইন্সটলমেন্ট ৪/৫ বছরে পরিশোধ করতে পারবেন।

বুঝলাম কিন্তু লাইসেন্স?

উঁহু, সে এক বিশাল কাহিনী। গাড়ী আপনি যখন খুশি কিনতে পারলেও লাইসেন্সের ব্যাপারে কর্তপক্ষ অত্যন্ত কঠোর। ধরে নিলাম বাংলাদেশে আপনার লাইসেন্স ছিলো না, এখানে এসে প্রথমেই আপনাকে ট্রাফিক রুলস নিয়ে পড়াশোনা করে কম্পিউটার টেস্টে পাস (মূলত মাল্টিপল চয়েস) করে লার্নাস নিতে হবে। লার্নাস পাবার পর আপনি চালানো শিখবেন কিন্তু যখনি গাড়ী নিয়ে রাস্তায় বের হবেন তখন আপনার পাশে অবশ্যই, আই রিপিট অবশ্যই ফুল ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে এমন কেউ থাকতে হবে যে আপনাকে গাইড করবে। কোনো অবস্থাতেই লারনাস নিয়ে একা বের হওয়া যাবে না। আর যদি একা বের হয়ে ধরা খেয়ে যান তাহলে আপনি শেষ, প্রভিন্সের আইন অনুযায়ী মোটা অংকের জরিমানা এবং নেগেটিভ টিকিট আপনাকে ধরিয়ে দেয়া হবে যা কিনা আপনার ইন্সুরেন্সে প্রভাব ফেলবে। প্রভিন্স ভেদে ৯ থেকে ১২ মাস লার্নাস হিসাবে চালানো, নির্ধারিত সেন্টার থেকে ত্বাত্তিক এবং ব্যবহারিক প্রশিক্ষন নিয়ে তবেই মূল লাইসেন্সের জন্য আপনি ড্রাইভ টেস্ট দিতে পারবেন। ড্রাইভ টেস্টে পাস করলে আপনাকে ফুল লাইসেন্স দেয়া হবে তবে প্রথমেই এর সাথে নবিস টাইটেল যুক্ত থাকবে। আরো বেশ কিছুদিন এভাবে চালোনোর পর নির্ধারিত সময়ে আপনি ফুল লাইসেন্স পাবেন। লার্নাস থেকে ফুল লাইসেন্স পেতে গড়পড়তা ১৫-১৮ মাস লেগে যায় তবে তা প্রভিন্স ভেদে ভিন্ন হতে পারে।

কিন্তু আমি তো বাংলাদেশে তুখোর ড্রাইভার ছিলাম ভাউ!

ইয়ে মানে বাংলাদেশে কবে আইন মেনে গাড়ী চালিয়েছেন? বাংলাদেশের শতকরা শতভাগ ট্রাফিক লাইটা আসলে ঘোড়ার ডিম। খুবই দুঃখজনক তবে সত্যি। তবে, আপনার যদি বাংলাদেশে গাড়ী চালানোর অভিগ্যতা থাকে তাহলে আপনার লাইসেন্সের বয়সের উপর ভিত্তি করে অথরিটি আপনাকে ওয়েটিং টাইম ওয়েভ করে দিতে পারে। সাধারণত এক বছর চালানোর অভিগ্যতা থাকলে আপনি কম্পিউটার টেস্ট দিয়ে সাথে সাথে ড্রাইভ টেস্ট দিতে পারবেন।

আমার তো ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই, কিন্তু নীলক্ষেত আছে না উস্তাদ 😉 ?

মুহতারামে হাজিরিন, একটা সময় ছিলো বাংলাদেশের সবকিছুই এনালগ ছিলো। অনেক আদম নীলক্ষেত থেকে লাইসেন্স নিয়ে এসে সেটার উপর ভিত্তি করেই পার পেয়ে গেছেন। এখন আর সেই দিন নাই, এখন লাইসেন্সে চিপ বসেছে। আর এখানকার অথরিটি লাইসেন্স অনেক ক্ষেত্রেই বিআরটিএ বা লোকাল বাংলাদেশ এম্বেসীর সাথে কথা বলে আপনার লাইসেন্স ভেরিফাই করে নেয়। জাল লাইসেন্স নিয়ে ধরা খেয়েছেন তো আপনি শেষ। গত পরশুই আমার পরিচিত দুই ভাই নীলক্ষেতের জাল লাইসেন্স নিয়ে ধরা খেয়েছেন। তারা যে হেনেস্তার স্বীকার হয়েছেন তা আর নাই বা বললাম। উপরন্তু আমরা বাংলাদেশীরা চোর হিসাবে ট্যাগড হয়েছি। এখন আসল লাইসেন্স নিয়ে আসলে আপনার দিকে যেভাবে তাকাবে তা মোটেও শোভনীয় নয় আর তার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী।

এই দেশে অনেক চাকুরীর সার্কুলারে স্পষ্ট লেখা থাকে ফুল ড্রাইভিং লাইসেন্স আবশ্যক। আপনার ফুল ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে আপনি এপ্লাই পর্যন্ত করতে পারবেন না। এখানে শীতকাল বেশ লম্বা হয়, বরফ পরলেও আপনি যাতে সঠিক সময়ে অফিসে পৌছাতে পারেন অনেক রিক্রুইটার এটা নিশ্চিত করতে চায়। এর পাশাপাশি যে সকল চাকুরীতে সাইট ভিসিটের ব্যাপার থাকে সেখানে সব জায়গাতেই আপনাকে নিজের গাড়ী নিয়ে যেতে হবে। অফিসের গাড়ী বলে কোনো কনসেপ্ট নেই, অফিস আপনাকে হয়ত তেলের খরচ বহন করবে অনেক ক্ষেত্রে কিন্তু গাড়ীটা আপনারই হতে হবে আর সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্সটাও!

এখানে গাড়ী চালানোর ১২ আনাই রুলস। তার উপর গাড়ী চলে রাস্তার ডান দিকে যা বাংলাদেশের সম্পূর্ণ বিপরীত! অনেক ঝানু ড্রাইভারও এখানে এসে ৩/৪ ঘণ্টা লেসন নিয়ে থাকেন এই পরিবর্তনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার জন্য। মনে রাখতে হবে অভার কনফিডেন্স ইজ এ কিলার।

ইলিয়াস কাঞ্চনের কথা সব সময় মাথায় রাখবেন, “একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না”।

বাংলাদেশের বেশীরভাগ গাড়ীর মালিক থার্ড পার্টি ইনস্যুরেন্স করে থাকেন যা পাওয়া যায় নাম মাত্র মূল্যে কিন্তু এই মুল্লুকে আপনাকে বেশ বড় অংকের টাকা মাসিক ব্যয় করতে হবে। গড় পড়তা ১০০-৩৫০ পর্যন্ত মাসিক প্রদান করতে হতে পারে। প্রভিন্স, আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের বয়স, গাড়ীর বয়স ইত্যারি প্যারামিটারের উপর ভিত্তি করে ইন্সুরেন্স উঠা নামা করে। উদাহরণ দেয়া যাক, টরেন্টোতে গড়ে ৩০০ ডলার আপনাকে মাসিক গুণতে হবে গাড়ীর ইন্স্যুরেন্সের পিছনে। আর ইন্স্যুরেন্স ছাড়া গাড়ী রাস্তার বের করতে পারবেন না।!

হুম বুঝলাম, ভালো কথা এবার বাসাবাড়ীর কথা বলেন?

হুম, কানাডার প্রায় শতভাগ বাড়ীই কাঠের তৈরী! এই বাড়ীগুলোকে আবার ভিক্টোরিয়ান স্টাইল বাড়ী বলে ডাকা হয়। কিন্তু ভিক্টোরিয়া আসলো কোথা থেকে? জনাব, প্রথমত ইংল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়াকে কানাডাও তাদের নিজেদের রানী হিসাবে মানে। এমনকি কানাডা সংক্রান্ত ব্যাপার দেখভাল করার জন্য ব্রিটেনের রানীর নিযুক্ত এজেন্ট জেনারেল কানাডায় কাজ করে থাকেন। যদিও ব্যাপার গুলো আলংকারিক কিন্তু এখনো কানাডায় কলোনিয়াল কন্ট্রিবিউশনের জন্য ভিক্টোরিয়াকে কানাডার রানী হিসাবে সাদরে মানা হয় ।

বুঝলাম কিন্তু ভিক্টোরিয়ান হাউস এর সাথে এর কি সম্পর্ক?

কুইন ভিক্টোরিয়ার রাজত্বকালে (১৮৩৭ থেকে ১৯০১ সাল) যে সকল বাড়ী তৈরী হয়েছিলো সেই বাড়ীগুলোকে ভিক্টোরিয়ান হাউস বলে। মূলত ঠান্ডা থেকে বাঁচতে ইট সিমেন্টের বদলে কাঠ দিয়ে তৈরী হত দ্বিতল বিশিষ্ট এই বাড়ীগুলো। সময়ের পরিক্রমায় এই স্টাইলের বাড়ীগুলো ভিক্টোরিয়ান হাউস নামে পরিচিতি প্রায় যা প্রায় গোটা ইউরোপ আর নর্থ আমেরিকায় জনপ্রিয়। কাঠের দেয়াল অনেকটা দ্বিস্তর বিশিষ্ট, মাঝে ইন্সুলেটর বসানো হয় যাতে ঠান্ডা বাইরে থেকে ভিতরে ঢুকতে না পারে। আপনি চাইলে পুরো হাউস ভাড়া নিয়ে থাকতে অথবা কিনতে পারবেন। পুরো বাড়ী কিনতে গেলে আপনাকে বেশ মোটা অংকের টাকা ব্যয় করতে হবে। যেমন একই বাড়ী হয়ত আপনাকে ভ্যাঙ্কুভারে কিনতে গেলে ৬০০,০০০ ডলারে কিনতে হবে আবার সেই বাড়ী সাস্কাচুয়ান বা মন্ট্রিয়ালে কিনতে গেলে হয়ত ২০০,০০০ ডলার ব্যয় করতে হবে। বাড়ীর দাম প্রভিন্স থেকে প্রভিন্সে উঠানামা করে।

কিন্তু বাড়ী তো আর কিনতে পারবো না ভাই, সস্তা কিছু বলেন!

কথা সত্য, আপনি চাইলে খুব সহজেই ১/২ রুমের ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে পারবেন যা অনেকটা বাংলাদেশের আদলে তৈরী করা (কিন্তু কাঠের)। বেশীরভাগ ফ্ল্যাটেই নিচে বেসমেন্ট আর উপরে সাধারণত আরো দুইতলা থাকে। বেসমেন্টে আলো বাতাস সাধারণত অত্যন্ত সীমিত, আবার কোনো কোনো বেসমেন্টে আলো বাতাসের সুযোগ পর্যন্ত থাকে না আর স্বভাবতই বেসমেন্টে রেন্ট খানিটা কম হয়ে থাকে। গড়পড়তা ১ রুমের বাসার জন্য আপনাকে ৮০০-১২০০ ডলার ব্যয় করতে হবে যা প্রভিন্স ভেদে উঠা নামা করে। টরেন্টোতে ১ রুমের স্টুডিও এপার্ট্মেন্টের জন্য যদি আপনি ব্যয় করবেন ১২০০ ডলার তাহলে একই বাসার জন্য হয়ত মন্ট্রিয়ালে আপনাকে ব্যয় করতে হবে ৯০০ ডলার! ২ রুমের বাসার জন্যও গড় পরতা ১১০০-১৪০০ ডলার পর্যন্ত ব্যয় করতে হতে পারে। মূলত আপনার প্রভিন্স ও লোকেশন অনুযায়ী বাসা ভাড়ার দাম উঠানামা করে। যেমন আপনি ডাউন টাউনে (মূল সিটিসেন্টার, আমাদের গুলশান কিংবা মতিঝিল অফিস পাড়া) থাকলে আপনাকে চড়া মূল্য পরিশোধ করতে হবে। ডাউন টাউনেই প্রায় সকল অফিস যে কারণে দাম ও চড়া। আপনি যদি একটু সাব আর্ব (সাব আর্বান, এই ধরুণ উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর) দিকে চলে যান তাহলে ভাড়াও আনুপাতিক হারে কমে আসবে।

হুম, সমস্যা নাই এক রুমেই থাকবো ব্রাদার, ট্যাকা সেভ 🙂 !

উঁহু, এই মুল্লুকে হাইজিন আর হেলথ ফ্যাক্টর অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। ধরুণ আপনি আলহাদুলিল্লাহ দুই বাচ্চার জনক বা জননী। ভাবছেন কানাডা পৌছে চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত এক রুমেই কষ্ট করে থাকবেন। এই মুল্লুকে এটা সম্বভব নয়, আপনাকে বাচ্চার জন্য আলাদা রুম নিতে হবে। বাচ্চার একটা নির্দিষ্ট বয়স হয়ে গেলে তাকে অবশ্যই আলাদা রুম দিতে হবে। আপনি গাদাগাদি করতে থাকতে চাইলেও বাড়ীওয়ালা বা এপার্ট্মেন্টের এজেন্ট এলাও করবে না। মোদ্যাকথা, পরিবারের আকার আকৃতি অনুযায়ী আপনাকে বাসা ভাড়া নিতে হবে। বেসমেন্টে বাসা ভাড়া কম হলেও সেখানে আবার অন্য ঝামেলা! কানাডায় ছারপোকার ভয়াভব, বেসমেন্টের এদের বাস হলেও উপরের তলাগুলোতেও হরহামেশা দেখা যায়। ভালো ভালো এপার্ট্মেন্টের এজেন্টরা ছারপোকা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেস্টা করে থাকেন। অনেক সিটিতেই আপনি কোন কোন বাসায় ছারপোকার আছে তার লিস্ট অনলাইনে পাবেন। ছারপোকা অত্যন্ত দ্রুত বংশবিস্তার করে আবার একবার কোনো বাসায় ঢুঁকে গেলে তা থেকে পরিত্রান পাওয়া বেশ কঠিন!

এই দেশে অনেকেই তার ব্যবহৃত আসবাব পত্র বাসার সামনে রেখে দেন যা আপনি ফ্রি নিয়ে আসতে পারবেন। কি নেই তাতে? টিভি, ফ্রিম, বিছানা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই। আমি পরিচিত এক ভাই কি চিনি যিনি কিনা ফ্রি সোফা বাসায় নিয়ে আসার পর সেখান থেকে ছারপোকা পুরো বাড়ীতে ছড়িয়ে যায়। এপার্ট্মেন্টের লোকজন অনেক চেষ্টা করেও ছারপোকা উৎপাটন করতে পারেনি। পরিশেষে সেই বাসাই তাদের ছাড়তে হয়েছিল!

পরিশেষে, সবাই শুধু সুবিধা জানতে চায়! শতশত মেম্বার ইনবক্স করেছেন কি কি সুবিধা পেতে পারি! মুহতারামে হাজিরিন যারা শুধু গাদা গাদা সুবিধার কথা ভেবে কানাডা আসার কথা ভাবছেন তাদের প্রতি অনুরোধ দয়া করে কিছু রিসার্চ করে আসুন। কানাডা অবশ্যই ল্যান্ড অফ লিভিং, এখানে আপনি সুন্দর ও পরিচ্ছন জীবন পাবেন কিন্তু তার মানে এই না আপনি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাবেন আর সরকার আপনার সকল দায়ভার নিজের কাধে নিবে।

সবাই শুধু ফ্রি চায়!

তাহলে ফ্রি নিয়েই আজকের লেখা শেষ করি! আগেই বলেছি ব্রিটেনের রানীকে কানাডাও রানী হিসাবে মানে। আপনি রানীর ছবি বাসায় বা আপনার অফিসে টাঙাতে চান? নির্দিস্ট ইমেইল এড্রেসে আপনার পূর্ণ ঠিকানা সহ পাঠিয়ে দিন আপনার বাসায় রানীর স্ট্যান্ডার্ড সাইজের ছবি প্রিন্ট করে যথাযথ কতৃপক্ষ আপনার বাসায় বিনামূল্যে পাঠিয়ে দিবে!

ভালো থাকুন।

পুনশ্চঃ ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে পরবর্তী পর্বগুলো শীঘ্রই লেখা সম্ভব হচ্ছে না। সময় সুযোগ করে আবার লিখবো কোনো এক সময়। ধন্যবাদ।

পর্ব ০১:https://m.facebook.com/groups/103145476396104?view=permalink&id=1613627335347903

পর্ব ০২:https://m.facebook.com/groups/103145476396104?view=permalink&id=1614699555240681

পর্ব ০৩:https://www.facebook.com/groups/camigbd/permalink/1617013041675999/

 

Courtesy:

Akhlaqur Rahman Rahi

কেন কানাডার অভিবাসী হবার চেষ্টা করা উচিৎঃ Last Page (First part)

সিনেমা শুরু হল, প্রথম থেকেই টান টান উত্তেজনা। প্রথমেই নায়ক বা নায়িকা মারা গেল। শেষ দৃশ্য দিয়ে শুরু হল সিনেমা। এই ধরনের সিনেমাগুলোকে সাধারণত বলা হয় Reverse chronology সিনেমা। আমিও চিন্তা করলাম এইরকম কিছু করি। যারা কানাডা চলে যাচ্ছে তাদের জন্য শেষ পর্বটা প্রথমে লিখে ফেলি। গত পর্বে কথা দিয়েছিলাম কানাডা গিয়ে কিভাবে সফল হওয়া যায়, বা অতীতে অভিবাসীরা কিভাবে সফল হয়েছে তা নিয়ে লিখবো। তাহলে শুরু করা যাক-

Nick Noorani নবাগতদের জন্য সাতটি success secrets দিয়েছেন –

১। ভাষাঃ
Nick Noorani এর মত আপনি যদি ইংরেজি বা ফ্রেঞ্চ অথবা দুটোই খুব ভালো করে শিখতে না পারেন, আপনার অবস্থা অনেকটা গুহাতে লুকিয়ে থাকা রত্নের মত। এইটা অনেকতা এইরকম যে করিম বাংলাতে খুব ভালো মার্কেটিং করতে পারে কিন্তু তার কাস্টমারা সবাই ইংরেজি বা ফ্রেঞ্চ এ কথা বলে।

২। ইতিবাচক থাকুনঃ
একজন নতুন অভিবাসী যখন কানাডাতে এসে ভালো চাকুরী পায় না, তখন সে সমালোচনা শুরু করে, তার ব্যর্থতার জন্য বিভিন্ন নেতিবাচক বিষয়গুলোকে দায়ী করা শুরু করে। Nick Noorani এর মতে তখন আসলে মন থেকে নেতিবাচক বিষয়গুলো সরিয়ে ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করা উচিৎ, যেমন – নিজের আরও কি কি ডেভেলপমেন্ট করা যায় এবং আশেপাশে অসুবিধার পাশাপাশি কি কি সুযোগ সুবিধা আছে সেগুলো নিয়ে চিন্তা করা।

৩। কানাডাকে ভালোবাসুন, জানুন, ঘুরে বেড়ানঃ
যদিও এখন আপনার কানাডাতে আশার স্বপ্ন সার্থক হয়ে গেছে, তাও মাঝে মাঝে নিজেকে মনে করিয়ে দিন যে আপনি আপনার স্বপনের দেশে আছেন। যে দেশে থাকবেন একসময় স্বপ্ন দেখছেন, সেখানে এখন বসবাস করছেন।কানাডাকে জানুন, কানাডার লোকজনকে জানুন, ঘুরে বেড়ান, সহজ কথাতে কানাডাকে ভালোবাসুন, কারন একমাত্র ভালবাসলেই কারও দোষ খুব সহজে ক্ষমা করে দেয়া যায়।

৪। বিকল্প পরিকল্পনা রাখুনঃ
আপনি হয়তো চিন্তা করছেন কানাডা গিয়ে Pharmaceuticals সেক্টর এ জব করবেন, বা procurement এ জব করবেন, কারন আপনি এই সেক্টর এ Specialized. আপনার Specialization এর পাশাপাশি অন্য বিকল্পগুলো নিয়ে চিন্তা করুন। হয়তো এমনো হতে পারে, যে বিষয় এ নিয়ে আপনি কখনও চিন্তাও করেন নাই, সেই বিষয় এ আপনি Usain Bolt এর থেকেও বেশী জোরে দৌড়াতে পারেন। যত বেশী বিকল্প পরিকল্পনা Ready রাখতে পারবেন, আপনি তত Safe.

দিনে শেষে, Survival of the fittest, এই কথাটি আমাদের মানতেই হবে। সুতরাং fit হন, Survival নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না, Survival আপনাকে নিয়ে চিন্তা করবে, Survival বলবে কি মাইরটাই না দিল, একটুর জন্য কানের পর্দা ফাটে নাই। এই পর্বে আর না আগামী পর্বে বাকি ৩টি success secrets আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।

 

 

Courtesy:

Mohammad Istekher Chowdhury